চিয়া বীজকে যে কারনে সুপার ফুড বলা হয়
কালো-ধূসর মেশানো এই ছোট্ট বীজ পুষ্টিতে ভরপুর। রোজ এই চিয়া সিড ভেজানো জল পান করলে একাধিক রোগের ঝুঁকি সহজেই এড়ানো যায়। পুষ্টির পাওয়ার হাউস বলা হয় চিয়া সিডকে। প্রোটিন, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর হয় চিয়া সিড। ১ আউন্স অর্থাৎ ২৮ গ্রাম চিয়া সিডে কত রকম পুষ্টি আছে, জানেন?
১ আউন্স চিয়া সিডে ১৩৮ ক্যালোরি, ৪.৭ গ্রাম প্রোটিন, ৯.৮ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। এছাড়াও ১ আউন্স চিয়া সিডে ৮.৬ গ্রাম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। বিশেষত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে চিয়া সিডের মধ্যে।
চিয়া সিডের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাগানিজের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। অল্প পরিমাণ হলেও চিয়া সিডের মধ্যে জিঙ্ক, কপার ও পটাশিয়াম রয়েছে।
চিয়া সিড ভেজানো জল পান করলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। হজমজনিত সমস্যা থেকে শুরু করে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায় এই বীজ।
চিয়া বীজকে যে কারনে সুপার ফুড বলা হয়, দেখে নিনঃ
১. চিয়া সিডের মধ্যে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায়, এটি হজমের সাহায্য করে। দীর্ঘক্ষণ পেটকে ভর্তি রাখে এবং ওজন কমানো সহজ হয়। পাশাপাশি এই বীজ অন্ত্রের স্বাস্থ্যকেও ভাল রাখে। এছাড়া চিয়া সিড কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
২. চিয়া সিড ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড রয়েছে। এসব উপাদান ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শারীরিক প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে এই ছোট্ট বীজ।
৩. ডায়াবেটিসের রোগীরাও নিশ্চিন্তে খেতে পারেন চিয়া সিড। চিয়া সিডের মধ্যে যে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, যা চিনিকে ভেঙে দেয়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাছাড়া উচ্চ ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়তে দেয় না।