রাজধানীতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ একই পরিরাবের নারী–শিশুসহ ৬
ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাজধানীর ভাষানটেকের একটি বাসায় সিলিন্ডারের গ্যাস লিকেস থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে নারী–শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে পশ্চিম ভাষানটেকের একটি দোতলা ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধদের ভোর পৌনে ৫টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আনা হয়।
দগ্ধরা হলেন– মো. লিটন (৫২), তাঁর মা মেহেরুন্নেছা (৬৫), স্ত্রী সূর্য বানু (৩০), সন্তান সুজন (৮), লামিয়া (৭) ও লিজা (১৮)।
দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা ওই বাসার কেয়ারটেকার রিফাত হোসেন বলেন, লিটন মিয়া ফার্নিচার ব্যবসায়ী। ওই বাড়ির নিচতলায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। ভোর ৪টার দিকে মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে ঘরের মধ্যে সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে বিস্ফোরণ হয়। এতে তাঁর মা, স্ত্রী ও মেয়েসহ ছয়জন দগ্ধ হন।
রিফাত হোসেন আরও বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডারটি ঘরের বাইরে ছিল। কিন্তু পাইপের সাহায্যে ঘরের মধ্যে চুলার সংযোগ ছিল। ওই চুলার সংযোগে লিকেজ থাকায় ঘরে গ্যাস জমে ছিল। মশার কয়েল জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে আমরা দ্রুত দগ্ধ অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার ভোর ৫টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি।’
বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, আজ ভোরে মিরপুরের ভাষানটেক থেকে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জনকে দগ্ধ অবস্থায় আনা হলে জরুরি বিভাগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে তাঁদের জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাঁদের সকলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আবাসিক চিকিৎসক আরও বলেন, দগ্ধদের মধ্যে মো. লিটনের শরীরের শতকরা ৬৭ শতাংশ, তাঁর মা মেহেরুন্নেছার শরীরের ৪৭ শতাংশ, স্ত্রী সূর্য বানুর ৮২ শতাংশ, সন্তান সুজনের ৪৩ শতাংশ, লামিয়ার ৫৫ শতাংশ ও লিজার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে।