বিদেশি প্রভূদের দাসত্বের সরকার এখন ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছে : আমিনুল হক
স্টাফ রিপোর্টার :
বিদেশি প্রভূদের দাসত্বের সরকার এখন ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছে। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র যখন পরাধীন হয়ে উঠে সেই রাষ্ট্র আর জনগণের হয় না বলে এমন মন্তব্য করে বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, আমরা কিন্তু বিদেশিদের উপর নির্ভরশীল নই, আমরা আমাদের নিজেদের যে শক্তি, এই জনগণের উপর আমরা নির্ভরশীল, আমরা এই আওয়ামী সরকারের যেখানে জনগণের ভোটের দরকার হয় না। তাদের বিদেশি প্রভূদের দরকার হয়। তারা বিদেশি প্রভূদের দিয়ে একতরফা নির্বাচন করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় যন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা ক্ষমতায় বসে আছে। তাদের এ ক্ষমতা তারা বেশি দিন থাকতে পারবে না। কারন বিদেশি প্রভূদের দাসত্বের সরকার এখন ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছে। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র যখন পরাধীন হয়ে উঠে সেই রাষ্ট্র আর জনগণের হয় না।
আজ শুক্রবার ( ৫ এপ্রিল) মোহাম্মদপুর বছিলায় ঢাকা মহানগর উত্তর ৩৩ ও ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির ইফতার মাহফিল পূর্ব আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে আমিনুল হক মোহাম্মদপুর থানাধীন ২৯ নং ওয়ার্ডে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ ও ৩১, ৩২ নং ওয়ার্ডের ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন।
আমিনুলন হক বলেন, আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের সকলকে একএিত হয়ে, আমাদের যে আন্দোলন একদফা, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা, বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এটাই হচ্ছে আমাদের একদফা দাবি।
তিনি বলেন, এই এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমাদের মূল কাজ যুবক সমাজকে করতে হবে, যারা ইয়াং জেনারেশন রয়েছে তাদেরকে করতে হবে, আপনারা যদি সকলে ঐক্যবদ্ধ হতে পারেন, তাহলে আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবো।
আমিনুল হক বলেন, আপনারা জানেন, আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের সকল জাতীয়তাবাদী আদর্শে সকল নেতৃবৃন্দ কে একসাথে করে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন এবং আমাদের দায়িত্ব বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সকল নেতৃবৃন্দ, সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ দের ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমাদের যে চলমান আন্দোলন রয়েছে, সেই আন্দোলন সফল করে আমরা যেন শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে পারি, আর এই অবৈধ সরকারের নির্যাতিত বাংলাদেশ, সেই নির্যাতিত বাংলাদেশকে যেন মুক্ত করতে পারি। এ হচ্ছে আমাদের প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধ্বগতি, আজকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই, আজকের দেশে বাক স্বাধীনতা নেই, আজকে বাংলাদেশের মানুষ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বেড়াজালে পড়ে আজকে প্রতিটি মানুষ অসহায়ের মতো কষ্টে জীবন যাপন করছে।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আজকে এই অবৈধ সরকারের ফ্যাসিষ্ট সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় দেখে, জনগণের কাছে কোন জবাবদিহিতা করে না, বাংলাদেশের সকল ক্ষমতার উৎস হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগনই কিন্তু এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারে এবং আমরা বিশ্বাস করি গত ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে, একতরফা ডামি নির্বাচন, সেই নির্বাচনে তারা নিজেরা নিজেরই সরকার গঠন করেছে। সেই নির্বাচনকে বাংলাদেশের জনগণ বিনা ভোটে প্রত্যাখ্যান করেছে, আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কোন মানুষ ভোট দিতে যায়নি, সেটা আমরা সকলেই দেখেছি দৃশ্যমান এবং আমাদের তথ্য মতে, ২% মানুষ ও ভোট দিতে যায়নি এবং আমি একটা কথা সবসময় বলি, যারা আওয়ামী সমর্থক তারাও ভোট দিতে যায় নাই।
তিনি বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে, এই আওয়ামী লীগ সরকার কখনোই এই দেশের জনগণের ভোটের সরকার নয়, কারন এদেশের জনগণের ভোটে এ আওয়ামী সরকার কখনও নির্বাচিত হয়নি।
আমিনুল হক বলেন, আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে, বাংলাদেশের সকল জনগণকে একসাথে নিয়ে আসা, কারন হচ্ছে বিএনপি জনগণের কথা বলে, বিএনপি দেশের কথা বলে, বিএনপি এ দেশের সাধারণ মানুষের কথা বলে, আমাদের প্রিয় নেএী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় যড়যন্ত্র মূলক ভাবে কারান্তরিত অবস্থায় রয়েছেন, তিনি গনতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে নিরলসভাবে কষ্ট করে যাচ্ছেন, আজকে তিনি অসুস্থ অবস্থায় জীবন মৃত্যুর সঙ্গে জীবন যাপন করছেন। আমাদের প্রিয় নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান যড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলায় নির্যাতিত হয়ে সূদুর প্রবাসে অবস্থান করছেন। আজকে সূদুর প্রবাসে অবস্থান করেও তারেক রহমান বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সকল নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে একযোগে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে চলেছেন এই অবৈধ ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে।
আমরা রাজপথে আন্দোলনে রয়েছি, এই রাজপথেই আমাদের ফয়সালা করতে হবে মন্তব্য করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক বলেন, আমরা যদি সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকি, সুসংগঠিত থাকি, তারেক রহমানের নেতৃত্বে। ইনশাআল্লাহ এই অবৈধ আওয়ামী সরকারের পতন ঘটবে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে, বাংলাদেশের জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হবে।
ইফতার মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী বলেন, এই দেশ অচি স্বাধীন হবে ‘৭১ এর মতো, সেই দিন আর বেশী দূরে নেই অচিরেই একটা নির্বাচন আসছে এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে।
তিনি বলেন, সামনে আন্দোলন আসছে সেই আন্দোলনের জন্য দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
ত্যাগ স্কীকার করেই জনগণের পাশে আছি আমরা উল্লেখ করে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল বলেন রমজান মাসে আমরা যে ত্যাগ স্বীকার করছি এই ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমেই আমরা আমাদের দেশের পরিবর্তন আনবো।
তাবিথ আউয়াল বলেন, বাংলাদেশ আজ সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। আজকে দেশে যে নীরব দূর্ভিক্ষ চলছে, এই দূর্ভিক্ষের বাইরে আমরা কেউ নয়। দেশের যে অবস্থা, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে দেশের বেশীরভাগ মানুষই কিন্তু খেতে পারছে না। কারন মানুষের আয়ের থেকে তাদের ব্যয় হচ্ছে বেশি।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকারের নিজস্ব দূ্রনীতি ও লুটপাটের কারনে আজকে দেশের ব্যাংকিং খাত বলেন শিক্ষা খাত বলেন দেশের সর্বস্তরে আজ আওয়ামী সরকারের দূর্নীতি ও লুটপাট চলছে।
তাবিথ আউয়াল বলেন, অনেক জেল-জুলুম হয়েছে, আরও হবে। সবকিছু মোকাবিলা করেই দেশকে সত্যিকারভাবে স্বাধীন করতে হবে, উদ্ধার করতে হবে ছিনতাই হওয়া গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, রমজান মাসে আমরা যে ত্যাগ স্বীকার করছি এই ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমেই আমরা আমাদের দেশের পরিবর্তন আনবো।
এ সময়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মহানগর উত্তরের সদস্য হাজী মোঃ ইউসুফ, দফতর দায়িত্বে এবিএমএ রাজ্জাক, মহিলাদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব এডভোকেট রুনা লায়লা,স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র সহ সভাপতি লিটন মাহমুদ বাবু,মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির আহবায়ক শুক্কুর মাহমুদ, যুগ্ম আহবায়ক এনায়েতুল হাফিজ, এ্যাডভোকেট সারোয়ার হোসেন সাকিফ, মিজানুর রহমান ইসহাক, ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মাসুম খান রাজেশ, সাধারন সম্পাদক ওসমান রেজা, ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মান্নান হোসেন শাহীন, ৩১ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মোঃ শহীদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল হক খান রনি, শ্রমিকদল মোহাম্মদপুর থানার আহবায়ক আলী কায়সার পিন্টু ও যুগ্ম আহবায়ক রুবেল হাওলাদারসহ বিএনপি ও সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।