ঈদে কেমন পোশাক ট্রেন্ডে রয়েছে!
ঈদ আসার এখনো কয়েকদিন বাকি কিন্তু ঈদের শপিংয়ের ব্যাস্ততা আরো আগে থেকেই বেড়েছে। নতুন পোশাক ছাড়া ঈদ যেন কল্পনাই করা যাই না। ঈদকে সামনে রেখে শত শত ভিনদেশি পোশাকপ্রেমীদের ভিড়ে দেশীয় পোশাকের চাহিদাও কিন্তু কম না ,এমন অনেক ক্রেতা আছে আছেন যাদের প্রথম পছন্দের তালিকায় আছে দেশীয় পোশাক।
যারা ফ্যাশন সচেতন তারা বিদেশি পোশাকের চেয়ে দেশীয় পোশাক ও ডিজাইনের প্রতি আস্থা রাখছেন। আর ফ্যাশন ডিজাইনাররাও গ্রাহকদের হতাশ করছেন না। প্রতি বছরই ট্রেন্ড পরিবর্তন হচ্ছে। আসছে নতুন নতুন নকশা, পোশাকের কাটেও আসছে পরিবর্তন।
ঈদে বাঙালি নারীদের পছন্দের শীর্ষে থাকে শাড়ি। সময়টা এখন দেশীয় শাড়ির। জামদানি, মণিপুরি, মসলিন শাড়িগুলো বেশ কয়েক বছর ধরেই নারীদের কাছে আবেদনীয়। গুণগত মান ও কাজের ওপর আনা হয়েছে আমূল পরিবর্তন। কাজের ওপর নির্ভর করে দাম। এর সঙ্গে শাড়িতে প্যাচওয়ার্ক, এমব্রয়ডারি, হ্যান্ড স্টিচ, ব্লকের কাজ নজরে পড়ছে বেশি।
এছাড়াও গরমকে মাথায় রেখে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস গুলোতে , এবারের ঈদে সালোয়ার-কামিজে কাট, প্যাটার্ন ও নকশার সমন্বয়ের পাশাপাশি পোশাকের জন্য ফেব্রিক নির্বাচন করা হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ ও স্বস্তিতে থাকাকে প্রাধান্য দিয়ে। কামিজের ক্ষেত্রে লং, সেমি লং এবং স্ট্রেইট প্যাটার্নকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আর এই সকল পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে কটন, জ্যাকার্ড কটন, জর্জেট, লিনেন, সিল্ক, হাফ সিল্ক, দুবাই সিল্ক, অরগাঞ্জা, ধুপিয়ান সিল্ক, মমো সিল্ক, সুইস কটন, ভিসকস, নিব কটন, এলেক্স, টু-টোন, সাটিন ফেব্রিক কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে।
ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রে এবারে আলাদা করে কটি ডিজাইনের পাশাপাশি পাঞ্জাবির সঙ্গে সমন্বয় করে পাঞ্জাবি ও কটি সেট তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া গত কয়েক বছর ধরেই পুরুষদের কাছে কাবলি সেট বেশ জনপ্রিয়। এবারও তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। এবার চাইলে গাঢ় রং যেমন বোটল গ্রিন, মাস্টার্ড ইয়ালো, নেভি ব্লু , মেরুন কাবলি সেট ঈদের স্টাইল করতে পারেন। সিল্কের ওপর ভারী কাজের এমব্রয়ডারি বা ঘন হাতের কাজের পাঞ্জাবি রাতের জন্য নির্বাচন করতে পারেন। তাছাড়া পাঞ্জাবিতে এবার জারদৌসি, চুমকি ,কারচুপি, লখনৌ স্টিচের কাজ দেখা যাচ্ছে। এবার এক রংয়ের পাঞ্জাবি ওপর কনট্রাস্ট সুতার কাজ প্রাধান্য পেয়েছে।’