গারুরিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে রাতে তালাবদ্ধ ভবনে উড়ছে পতাকা
বরিশাল প্রতিনিধি:
বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গারুরিয়া ইউনিয়নের খয়রাবাদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে দিনে – রাতে সমান তালে উড়ে জাতীয় পতাকা।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ধারক ও বাহক হিসাবে এবং বিদেশে আমাদের দেশের প্রতীক নির্দেশনা একমাত্র মাধ্যম এই জাতীয় পতাকা।
যে পতাকার মান রক্ষা করতে যেয়ে বাঙালী জাতির লক্ষ লক্ষ মুক্তিকামী মানুষ শাহাদাত বরণ কছেছেন। মা – বোনেরা ইজ্জত হাড়িয়েছেন।
২৯/১/২০২৪ ইং সোমবার দুপুর ১.১৫ মিনিটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তালাবদ্ধ ভবনে উড়ছে পতাকা। একই দিন রাত ৮.৩০ মিনিটের সময়ও দেখা যায় টানানো অবস্থায় পতাকাটি। জানা যায়, ১০ ই জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ থেকেই নাকি এই পতাকাটি একই ভাবে উড়ছে।
আইন অনিযায়ী সূর্যাস্তের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা খুলে নামিয়ে রাখতে হবে। কোন অবস্থাই রাতে পতাকা টানিয়ে রাখা যাবে না।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডাঃ শংকর প্রসাধ অধিকারীকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খয়রাবাদ গ্রামের রফিকুল ইসলাম সিকদারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত। এখানকার কর্মচারীরা টাকার বিনিময়ে ঔষধের বানিজ্য করে থাকে। এদের হাতে টাকা দিলেই মিলে ঔষধ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, খয়রাবাদ বাজারের একাধিক দোকানদার বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি কর্মচারীদের ইচ্ছের তাবেদারীর ওপর নির্ভরশীল।
কর্মচারী স্বল্পতার কারনে সপ্তাহে দুই দিন খোলা হয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। যে কারণে প্রতিনিয়ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামের আর্থিক ভাবে দূর্বল রোগীরা।
নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির কমিটির সদস্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও অত্র ওয়ার্ডের মেম্বার। তাদের কাছে জানতে চাইলে তারাও ওই প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি খয়রাবাদ হাটের মধ্যে অবস্থিত বিধায় অনেক রোগী সাপ্তাহিক হাটবারে নানাবিধ রোগ ব্যাধির চিকিৎসা করাতে আসতেন। কিন্তুু বর্তমানে সপ্তাহে দুই দিন খোলা থাকায় এখন আর আগের মত সেবা নিতে পারছেন না কোন মানুষ।
তাছাড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির অভ্যন্তরের পরিবেশ খুবই নোংরা, ও অস্বাস্থ্যকর। রুমের ভিতরে বাসা বেঁধেছে উই পোকা। অপরিচ্ছন্ন টয়লেট।
এ বিষয়ে জানতে অত্র স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে দায়িত্বে থাকা ফার্মাসিস্ট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন তার দায়িত্ব সপ্তাহে দুই দিন। বাকি সময়ের জন্য তিনি কিছু বলতে অপারগ।
বিশেষ সুূত্রে জানা যায়, দ্বায়িত্বে অবহেলা জনিত কারণে ভেঙে পড়েছে উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। যার ফলে এলাকার সাধারন মানুষকে ছোট – খাট চিকিৎসার জন্য তিন থেকে চার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয়।
এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমানের সাথে জানতে চাইলে, তিনি জানান তদন্ত করে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।