মধ্যনগরে হাঁসি ফুটবে কুমড়া চাষীর
মধ্যনগর, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে পতিত জমিতে প্রথম বারের মতো কুমড়ার চাষ করছেন এক কৃষক।তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হলে মুখে “হাঁসি ফুটবে সেই কুমড়া চাষীর”।
১৫জানুয়ারী সরেজমিনে মধ্যনগর সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের হরিপুর ও নওয়াগাঁও গ্রামের মধ্যস্থলে অনাবাদি পতিত ৫০কাটা জমিতে কুমড়া চাষের জন্য আবাদ করেন পাশ্ববর্তী কলমাকান্দা উপজেলার পুগলা ইউনিয়নের টেংগা গ্রামের কৃষক হানিফ মিয়া। তিনি চলতি বছরের কার্তিক মাসের মাঝামাঝি থেকে অনাবাদি পতিত জমি চাষ করে কুমড়ার বীজ বপন করেন।যথা সময়ে ফসলের লক্ষ্য মাত্রা অর্জন হলে কৃষকের হাসি ফুটতে পারে কৃষকের।চারা থেকে ১৫জানুয়ারী প্রথমবারের মতো কুমড়া বাজারজাত শুরু করেন।
হাঁসি মুখে কৃষক হানিফ মিয়া জানান আমি প্রায় ৭লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছি।এবং আর্লাহুতালা সহায় থাকলে প্রায় ১৪লক্ষ টাকার বিক্রির সম্ভাবনা দেখছি।এই প্রথম ৩৫টাকা দরে আংশিক কুমড়া বিক্রি শুরু করেছি।আমার কুমড়া ঢাকার একপার্টি নিয়ে গেলেন।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তদারকির মাধ্যমে সহায়তা পেলে আরো ভালো হতো।
হরিপুরগ্রামের সেনা সদস্য আশীষ তালুকদার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।আমাদের এলাকায় এই প্রথম অনাবাদি জমিতে কুমড়ার চাষ। এলাকাবাসী তথা সকলের প্রয়োজন উদ্দোক্তাদের সার্বিক সহায়তা করা।এবং যথাসময়ে কুমড়া চাষে কতৃপক্ষের তদারকীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে পূর্ণ সহযোগীতা প্রদান করা প্রয়োজন মনে করছি।তবেই এলাকার যুবকরা মানসিক সাহস ও পতিত জমিতে ফসল উৎপাদন বা ব্যাবহারে সকলি উদ্বুদ্ধ হবেন।
এবিষয়ে ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্নাহ্ জানান-এমন উদ্দোক্তাদের স্বাগত জানাই সবসময়।আমি শুনেছি, ইতিমধ্যে আমার উপসহকারী কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি।তার কুমড়া উৎপাদনে সকল ধরনে সহায়তা তথা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।