আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত ২৭ স্বতন্ত্র প্রার্থী এমপি’র ভাগ্য নির্ধারন হবে ১৬ ডিসেম্বর
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত ২৭ সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইতোমধ্যে এই সংসদ সদস্যরা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
দলিয় বিধিনিষেধ শিথিল থাকায় তারা সংসদ সদস্য ও দলিয় গুরুত্বপর্ণ পদে থেকেই চোখ রাঙাচ্ছেন নৌকার প্রার্থিদেরকে।
তাদের প্রার্থি হওয়ায় দলিয় বিভক্তি প্রকট ২৭ আসনেই।এদের মধ্যে অনেকই জয় লাভ করবেন এমনটিই মনে হচ্ছে নানা ঘটনাপ্রবাহে।এসব সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থি হওয়ায় নৌকার টিকেট পাওয়া প্রার্থিরা মহাসংকটে পড়েছেন।চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে তাদের জয়।
এসব স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের প্রার্থি হওয়ার কারনে তাদের আসনগুলোতে একই দলের মধ্যে সাংঘর্ষিক অবস্থা বিরাজ করছে।এলাকার আধিপত্ত নেওয়া,নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা,মাঠ দখল,বিরুদ্ধবাদিদের এলাকা ছাড়া করে কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার মত অসংখ্য ঘটনা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
যেসব আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত সংসদ সদস্যরা স্বতন্ত্র প্রার্থি হয়েছেন সেসব আসনগুলো হলো: পঞ্চগড়-১ আসনে মো. মাজাহারুল হক প্রধান, গাইবান্ধা-৪ আসনে মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, নওগাঁ-৩ আসনে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন তরফদার, নওগাঁ-৪ আসনে মো. এমাজ উদ্দিন প্রামাণিক।
রাজশাহী-৩ আসনে মো. আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ আসনে এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনে মো. মনসুর রহমান, মেহেরপুর-২ আসনে মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান, ঝিনাইদহ-৩ আসনে মো. শফিকুল আজম খান।
যশোর-৪ আসনে রণজিৎ কুমার রায়, সাতক্ষীরা-২ আসনে মীর মোশতাক আহমেদ রবি, বরিশাল-৪ আসনে পঙ্কজ দেবনাথ, টাঙ্গাইল-৫ আসনে মো. সানোয়ার হোসেন, জামালপুর-৪ আসনে মো. মুরাদ হাসান।
ময়মনসিংহ-৩ আসনে নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহ-৯ আসনে আনোয়ারুল আবেদীন খান, ঢাকা-৫ আসনে মো. কাজী মনিরুল ইসলাম।
গাজীপুর-৩ আসনে মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ, সুনামগঞ্জ-১ আসনে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ-২ আসনে জয়া সেনগুপ্ত, হবিগঞ্জ-১ আসনে গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, হবিগঞ্জ-২ আসনে মো. আব্দুল মজিদ খান।
কুমিল্লা-৮ আসনে নাসিমুল আলম চৌধুরী, নোয়াখালী-৬ আসনে আয়েশা ফেরদৌস, চট্টগ্রাম-৪ আসনে দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম-১২ আসনে শামসুল হক চৌধুরী এবং কক্সবাজার-১ আসনে জাফর আলম।
গত ২৬ নভেম্বর ২৯৮ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। মন্ত্রিসভার তিনজন সদস্যসহ বর্তমান সংসদের ৭১ জন সংসদ সদস্য সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েন।
এসব প্রার্থি কেন্দ্রিয় সিদ্ধান্তের শিথিলতার কারনে স্বতন্ত্র প্রার্থি হতে উৎসাহিত হয়েছেন।তবে শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনের মাঠে প্রার্থি হয়ে থাকতে পারবেন কি না তা নিয়ে এখনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি আওয়ামী লীগ।
বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে উৎসবমূখর ও অংশগ্রহনমূলক করতে বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও প্রায় ৩০ টি রাজনৈতিক দল অংশ নেওয়ায় এবং দলিয় পরিচয়ের বাইরে অধিক পরিমান প্রার্থি স্বতন্ত্রের ব্যানারে নির্বাচনে আসায় এসব দলিয় প্রার্থিদের প্রত্যাহার করে নিতে পারে দলটি।
আর এই ২৭ এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থি হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে পারবেন কি না তা জানা যাবে ১৬ ডিসেম্বর দলিয় ঘোষণায়।