যাকেই ভোট দেয়া হোক ঘুরেফিরে আ. লীগের প্রার্থী: ইইউ দলকে বিএনপি
ঢাকায় সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনী কারিগরি দলেকে বিএনপি বলেছে, আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে যাকেই ভোট দেওয়া হবে, তিনি হয় নৌকার প্রার্থী, না হয় ডামি প্রার্থী, না হয় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।
এছাড়া ৭ জানুয়ারি নির্বাচন প্রকাশ্যে সাজানো ও পাতানো। এ বিষয়ে কারিগরি দলকে তথ্য-প্রমাণও দেখানো হয়েছে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ইইউ কারিগরি দলের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করে বিএনপির ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল।
বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র সংবাদমধ্যমকে জানিয়েছে, সরকারবিরোধী দলবিহীন যে একতরফা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, সেটা কোনো নির্বাচন নয়, নির্বাচনের নামে একটা নাটক মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে।
এছাড়া এই বিষয়ে কারিগরি দলেকে কিছু তথ্য-প্রমাণও দেওয়া হয়। বিরোধী দল হিসেবে যাদের দেখানো হচ্ছে, তারা কীভাবে সরকারের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির নির্বাচন করছেন।
এছাড়া এই পাতানো নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টরা কে কী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন, সেটিও তুলে ধরা হয়েছে।
বিএনপির প্রতিনিধিদলের প্রধান স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, কারিগরি দলের সঙ্গে বৈঠক করে আমরা বুঝেছি যে, তারা নির্বাচন পরিস্থিতির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেবেন। সেটার তথ্য সংগ্রহ করছেন তারা। আমরা বাস্তবতাটা তুলে ধরেছি, এটা কোনো নির্বাচন নয়, নাটক হচ্ছে।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানসহ ৬ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১২টায় সিলেট বিভাগীয় বিএনপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ইইউ কারিগরি দল। সিলেটের স্থানীয় এক হোটেলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সিলেট বিএনপির পক্ষে অংশ নেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির, আরিফুল হক চৌধুরী ও সিলেট জেলা বিএনপি সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী।
এছাড়াও গত ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করে ইইউ কারিগরি দল। ওই বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম উত্তর বিএনপির সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকার, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিএনপি আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।