রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কবলে গাজীপুর-৩ আসন, ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা
গত ৫ বছরের শান্ত জনপদ গাজীপুর-৩ আসন নৌকার মনোনয়ন ঘোষণার পর সামাজিক ও রাজনৈতিক সন্ত্রাস কবলিত হয়ে পড়েছে। এই আসনের বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজের স্থলে এবার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে সংরক্ষিত আসনের এমপি রুমানা আলী টুসিকে।
এবার মনোনয়ন ঘোষণার পরপরই ইকবাল হোসেন সবুজের বিপক্ষ শক্তি যারা এতদিন ঘাপটি মেরে নিরব হয়ে বসে ছিল তারা হঠাৎ করেই সমগ্র এলাকাটি তোলপাড় করে জনমনে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে।
হঠাৎ করেই শান্ত এ জনপদ বিভিষিকাময় হয়ে পড়ে।মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।নির্বাচনী এলাকাটির উপজেলা কার্যালয় থেকে শুরু করে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কার্যালয়সমুহ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও এমপি সবুজের ছবি নামানোর হিড়িক পড়ে যায়।
কোথাও কোথাও এসব ছবি পদদলিত ও ভাঙচুর করা হয়।তৈরি হয় সামাজিক বিশৃঙ্খলা।বক্তব্য পাল্টা বক্তব্য ও সামাজিক যোগাযোগাগ মাধ্যমে এ নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়।
একই সময় বহু সমুজ অনুসারিরা নিরাপত্তাহীনতায় বাড়ি ঘর ছেড়ে নিরাপদ দুরত্বে চলে যেতে বাধ্য হন এবং সেই ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এই আসনে প্রার্থি পরিবর্তনের সাথে সাথে এতদিন নিশ্চুপ হয়ে থাকা একশ্রেনীর নেতা কর্মিরা কমিটি তৈরি, ফ্যাক্টরি দখলের পরিকল্পনা আঁটে এবং তা ফাঁস হয়ে যায়।
যানবাহন স্ট্যান্ডগুলোতে বিগত দিনে চাঁদাবাজি বন্ধ থাকলেও এসব বাস ট্রাক সিএনজি স্ট্যান্ডগুলোর দখলদারিত্বের বিষয়গুলো আবার প্রকাশ্যে আসে। তেরি হয় জন আতঙ্ক।
প্রতিক বরাদ্দের পর স্বতন্ত্র প্রার্থি ইকবাল হোসেন সবুজের প্রচারণায় বাধা,পোস্টার আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া অথবা ছিঁড়ে ফেলা, তার অনুসারিদের নৌকার মিছিলে যেতে বাধ্য করা এবং এ নিয়ে সংঘর্ষের মত ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।একই রকমের অভিযোগ করছেন নৌকা সমর্থিত নেতা কর্মিরাও।
এমপি সবুজ তার চিরায়ত চরিত্র নিয়ে প্রতিদিন ২০/৩০ টা পথসভা করছেন। নৌকার প্রার্থিও একইভাবে প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।কিন্তু নৌকার প্রচারণা নির্বিঘ্ন থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থি এমপি সবুজের প্রচারনায় নানা জটিলতা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে।
দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান, বিশেষ করে স্বতন্ত্র প্রার্থির সমর্থকদের নানা প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে ভোটের মাঠে টিকে থাকতে হচ্ছে বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।যে কারনে সাধারন মানুষ মনে করছে এই আসনের নির্বাচন সাংঘর্ষিক পথে এগুচ্ছে।
মাঠের পরিবেশ শান্ত সৌহার্দপূর্ণ না থাকলে আতঙ্কগ্রস্থ ভোটাররা ভোটের দিন নিরাপত্তাহীনতায় এবং রোষানলে পড়ার আশংকায় কম সংখ্যক ভোটকেন্দ্রে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া কেন্দ্র দখল,জোরপূর্বক সীল মারা,প্রতিপক্ষের এজেন্ট নিয়োগে বাধাদানসহ নানা আশংকা রয়েছে এই আসনটি ঘিরে। এসব সমস্যার সমাধান না হলে এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে গাজীপুর-৩ আসনে।