সোনা আত্মসাৎ সন্দেহ শার্শায় সুমন খুন : সিন্ডিকেটের আলোচিত সদস্য তরিকুল গ্রেফতার
বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
যশোরের বেনাপোলের ওমর ফারুক সুমন (২৬) হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরো একজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গত সোমবার দিবাগত রাতে তরিকুল ইসলামকে (২৯) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি শার্শা উপজেলার শালকোনা গ্রামের ইমান আলীর ছেলে। এ নিয়ে হত্যায় জড়িত ৭ জন গ্রেফতার হলো। সুমন সোনার বার আত্মসাৎ করেছে সন্দেহে চোরাকারবারীরা তাকে দুইদিন ধরে নির্যাতনের পর হত্যা করে।
পুলিশ জানায়, সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে ঢাকার হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হয় তরিকুল। পুলিশ আরো জানায়, সোনা আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১১ নভেম্বর চোরাকারবারী চক্রের হোতা শার্শা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল ও তার লোকজন মিলে সুমনকে বেনাপোলের গোলদার ম্যানসনের তৃতীয় তলায় আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। পরে তিনি মারা গেলে একটি প্রাইভেট কারে করে লাশ মাগুরা সদর উপজেলার রামনগর এলাকায় রাস্তার পাশের একটি ঝোপের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। পরে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও মোবাইল তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ডিবি জানিয়েছে, আনুমানিক ওজন ৩ কেজি ওজনের ২৫টি সোনার বার খোয়া যাওয়ায় চোরাকারবারী চক্রের কামাল গ্রুপ সুমনকে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। পরে সোনা না পেয়ে তাকে হত্যা করে লাশ মাগুরায় ফেলে রেখে যায়।
গত ১৬ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে মাগুরার রামনগর গ্রাম থেকে সুমনের মৃতদেহ উদ্ধার করে বেনাপোল ও মাগুরা পুলিশ। নিহত সুমন বেনাপোলের টেংরালী গ্রামের ওসমান গণির ছেলে।
এ সংক্রান্তে বেনাপোল পোর্ট থানার মামলা নং-১৫, তাং-১৪/১১/২০২৩ খ্রিঃ,ধারা- ৩৪২/৩২৫/৩৬৪/৩০৭/ ৩৪/ সংযুক্ত ৩০২/২০১ পেনাল কোড তদন্তাধীন আছে। মামলাটি এসআই মোঃ মুরাদ হোসেন, জেলা গোয়েন্দা শাখা, যশোর।