মওলানা ভাসানী রাজনীতির নৈতিকতার বাতিঘর : বাংলাদেশ ন্যাপ
স্টাফ রির্পোটার:
স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, সাম্রজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের মহানায়ক মজলুম জননেতা মওলানা আবুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৩ তম জন্মবার্ষিকীতে তার অমর স্মৃতির প্রতি গভীরতম শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, আজ যখন রাজনীতি থেকে নীতি-নৈতিকতা বিসর্জিত হচ্ছে তখন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে সমগ্র জাতি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছে। মওলানা ভাসানী ছিলেন রাজনীতির নীতি-নৈতিকতার বাতিঘর। আমাদের জাতীয় ইতিহাসের প্রাণ পুরুষ। তাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নির্মান করা সম্ভব নয়।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ১২ ডিসেম্বর মজলুম মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকে যদি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে দেখি তবে দেখা যাবে, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীই প্রথম তাঁর বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে স্বায়ত্তশাসন, এমনকি স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন জাতিকে।
নেতৃদ্বয় বলেন, ১৯৪৯ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, ৫২ ভাষা আন্দোলন, ৫৪ যুক্তফ্রন্টের নির্মান, ৬৯ গণআন্দোলন, ৭০ নির্বাচন, ৭১ মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি পাতায় পাতায় মওলানা ভাসানী রয়েছেন। তাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস নির্মান সম্ভব নয়। ইতিহাস সবাই মিলে রচনা করতে হয়। খন্ডিত ইতিহাস বা আংশিক ইতিহাস জাতির জন্য কল্যাণকর নয়।
ন্যাপ নেতারা বলেন, আজ নীতি নৈতিকতা হুমকির মুখে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংসের পথে। এ অবস্থা থেকে দেশ জাতিকে মুক্তি দিতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে লুটেরাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আর এখানেই মওলানা ভাসানী আমাদের পথ দেখাতে স্বক্ষম।
তারা বলেন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সারাজীবন মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি একইসঙ্গে ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রবক্তা ছিলেন। ছিলেন স্বাধিকার আন্দোলনের প্রবাদ পুরুষ। তিনি প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ভাসানী সাহেব সারাজীবন গ্রামে একটি কুঁড়েঘরে কৃষকের মতো জীবনযাপন করেছেন। যার কোনো ব্যাংক একাউন্ট ছিল না, গাড়ি ছিল না, বাড়ি ছিল না।
নেতৃদ্বয় বলেন, মওলানা ভাসানী কেবল আমাদের জাতীয় ইতিহাসে নয় বরং ভারত বর্ষের ইতিহাসের এক অনন্য রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব। যতদিন মেহনতি মানুষের সংগ্রাম থাকবে, সাম্রাজ্যবাদী – আধিপত্যবাদী আগ্রাসন, মৌলবাদ, ধর্মান্ধতা, অসম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক চেতনার জন্য সংগ্রাম থাকবে, ততদিন বেঁচে থাকবেন মুক্তিসংগ্রামী মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান মওলানা ভাসানী।