ভাড়া ও বরাদ্দের নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা মুরাদনগরের নাগেরকান্দি এলাকায় মুরাদনগর-হোমনা আঞ্চলিক সড়কের দুইপাশে সওজ’র (সড়ক ও জনপথ বিভাগ) এবং কুমিল্লা জেলা পরিষদের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অন্তত ৩০টি অবৈধ স্থাপনা। ইতোপূর্বে সওজ’র জায়গা থেকে এসব অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ করার কিছুদিন না যেতেই নাগেরকান্দি এলাকার একটি সংঘবদ্ধ চক্র শুরু করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি প্রতিযোগিতা। অবশেষে স্থাপনা তৈরি শেষে ভাড়া ও বরাদ্দের নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় সরকারি সম্পত্তি রক্ষা ও যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ইতিপূর্বে নাগেরকান্দি এলাকায় মুরাদনগর-হোমনা আঞ্চলিক সড়কের দুইপাশের বেশ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। বেশ কয়েকমাস পর ফের ওই জায়গায় দখলযজ্ঞ শুরু হয়। চক্রটি অন্তত ৩০টি দোকান ঘর নির্মাণ করে তা বরাদ্দের মাধ্যমে ভাড়ার নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি শুরু করে।
কুমিল্লা সওজ এর মুরাদনগর উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন আহমেদ জানান, ‘ইতিপূর্বে বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা আমরা উচ্ছেদ করেছিলাম। সওজ বিভাগের জায়গার পাশাপাশি সেখানে জেলা পরিষদেরও জায়গা রয়েছে। আমাদের লোকবল কম. এতোটা নজরদারি রাখা যায় না। তারপরও আমরা যেহেতু দখলের বিষয়টি জানতে পেরেছি, আমরা নোটিশ দেব। তাতেও যদি স্থাপনাগুলো না সরায় তাহলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো’।
এবিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার  মো. আলাউদ্দীন ভূঁঞা জনী বলেন, ‘জায়গা দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মানের বিষয়টি সঠিক হয়ে থাকলে সেখানে সার্ভেয়ার পাঠিয়ে পরিমাপ করা হবে। সড়ক ও জনপথ এবং জেলা পরিষদের জায়গা হয়ে থাকলে তাদেরকেও অবহিত করা হবে। পরে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে আমরা দখলদারদের নোটিশ করবো। স্থাপনা অপসারণ না করলে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * চাঁদাবাজি * বরাদ্দ * ভাড়া
সর্বশেষ সংবাদ