নৌকার মাঝি হলেন তিনবার নির্বাচিত সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন
বেনাপোল, প্রতিনিধিঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ০৭ জানুয়ারী/২০২৪ ইং তারিখ। এ উপলক্ষ্যে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্ধিতায় অংশ নিতে আ.লীগের “নৌকা” প্রতীকের টিকিট পেলেন ৮৫, যশোর-১ (শার্শা) আসনের তিন তিনবার নির্বাচিত সাংসদ শার্শাবাসীর প্রিয় নেতা-শেখ আফিল উদ্দিন। প্রধানমন্ক্রীর বাসভবণ গণভবনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাথে দলীয় সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক মতবিনিময় সভায় আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ঘোষণা দেন।
শার্শা+বেনাপোল জুড়ে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতৃবৃন্দ শেখ আফিল উদ্দিন এর পক্ষে বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সোস্যাল মিডিয়ায় অভিনন্দন এবং বিবৃতি দিতে থাকেন।
দলীয় মনোনয়ন “নৌকা” প্রতীক পাওয়ায় শার্শা+বেনাপোল জুড়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের আনন্দ মিছিল বের করা হয়। নৌকা নৌকা বলে মুহূর্মুহু শ্লোগান উঠতে থাকে মিছিলে,আতশবাজী ফুটিয়ে প্রিয় নেতাকে তারা অভিবাদন জানাতে থাকে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতায় নামতে আ.লীগের “নৌকা” প্রতীক পেতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছিলেন বেশ কয়েকজন, এরা হলেন-আশরাফুল আলম লিটন(যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,যশোর জেলা,আ.লীগ),নবী নেওয়াজ মুজিবুদ্দৌলা সরদার
কনক (দপ্তর সম্পাদক,যশোর জেলা আ.লীগ) এবং নাজমুল হাসান(কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা,ঢাকা)।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় নেতৃবৃন্দদের আশ্বাসে গণসংযোগ ও নির্বাচনী কার্যক্রমে মাঠে ছিলেন। তারই অংশ হিসেবে গণসংযোগের ছবি, স্মার্ট কার্যক্রমের ডকুমেন্টসহ বিভিন্ন প্রমাণ নিয়ে দলীয় টিকিটের জন্য দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছিলেন প্রার্থীরা। যদিও আগেভাগেই বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য, দলীয়ভাবে গোপনীয় তথ্য ও প্রার্থীর আমলনামা দলীয় সভানেত্রীর হস্তগত হয়েছে। সেই আমলনামার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় যার জনসমর্থন আছে, ক্লিন ইমেজে যে এগিয়ে রয়েছেন, তাকেই দলীয় টিকিট দেয়া হবে বলে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সূত্রে জানা গিয়েছিল। তবে কেউ কেউ নিজের আমলনামা নিয়ে শংকিতও ছিলেন তারা।
অত্র শার্শা আসনের কয়েকজন প্রবীণ ভোটাররা জানিয়েছেন, “জনগণের সাথে যার সম্পর্ক আছে, দলীয় কর্মকান্ডে যার অবদান রয়েছে, এমন মানুষকেই শেখ হাসিনা মনোনীত করেছেন। উন্নয়নের স্বার্থে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শার্শায় শেখ আফিল উদ্দিনের বিকল্প নেই”।
উল্লেখ্য, নির্বাচন অফিস থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালের নির্বাচনে যশোরের ছয়টি আসনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সাথে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। যশোর-১ (শার্শা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আওয়ামী লীগ মনোনীত শেখ আফিল উদ্দিনের সাথে বিএনপির মফিকুল হাসান তৃপ্তির সাথে। এই আসনে শেখ আফিল উদ্দিন জয়লাভ করেন। ২০১৮ সালের জয়ের মধ্য দিয়ে তিনি টানা তিনবার এমপি নির্বাচিত হন।
যশোর-১(শার্শা) আসনের হ্যাট্রিক করা এমপি শেখ আফিল উদ্দিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দু’ লাখ ৯ হাজার তিন ভোট পেয়ে বিজয়ী হন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তি পেয়েছিলেন মাত্র চার হাজার ৮০২ ভোট।
এর আগে ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে শেখ আফিল উদ্দীন ৯৪ হাজার ৫৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের আজিজুর রহমান ৮৮ হাজার ৭০০ ভোট পান এবং ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে শেখ আফিল উদ্দিন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
বিঃ দ্রঃ-নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনী তফশিল মোতাবেক আগামী ৩০ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র জমা প্রদান,১-৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাচাই-বাছাই,মনোনয়ণ প্রত্যাহারের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর,প্রতীক বরাদ্ধ ১৮ ডিসেম্বর এবং ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ০৭ জানুয়ারী ২০২৪ ইং সনে।