জামাইকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে শ্বশুর-শাশুড়ি গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টারঃ
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১৬ বছর আগে হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের দক্ষিণ চরঈশ্বর রায় গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের বড় মেয়ে ইয়াসমিন আক্তারকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন আফছার। বিয়ের পর সে তার স্ত্রীকে নিয়ে জীবিকার তাগিদে চট্টগ্রাম থাকতেন। শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে হাওলাতি টাকা নিয়ে আফছারের দীর্ঘদিন মনোমালিন্য চলে আসছে। গত সোমবার ১৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে তার শ্বশুর বাড়িতে এসে তার পাওনা টাকা দাবি করে আফছার।
জানা যায়, ভিকটিমের শ্বশুর-শাশুড়ি চৈত্র মাসে তার পাওনা টাকা পরিশোধ করবে বলবে জানায়। একপর্যায়ে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্বশুর বাড়িতে রহস্যজনক পেট্রোলের আগুনে আফছারের শরীরের ৯০-৯৫ শতাংশ পুড়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে ওই সময় শ্বশুরের পরিবারের সদস্যরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে শ্বশুরের পরিবারের সদস্যরা তাদের সহযোগিতায় তাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় আজ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নেওয়া হয়েছে। যাহার জিডি নং নং-৫৩৪। নিহতের স্বজনেরা মামলা করার জন্য থানায় এসেছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ সুপার (হাতিয়া সার্কেল) আমান উল্লাহ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় শ্বশুর-শাশুড়ি সহ ২ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে পাওনা টাকার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। শ্বশুর-শাশুড়ি সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা এ জামাইয়ের শরীরে আগুন দিয়েছে। আমরা যাচাই করে দেখেছি প্রাথমিকভাবে আগুন দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এটা মার্ডারই হবে। শ্বশুর-শাশুড়ি সহ তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরাও এ ঘটনার সাথে জড়িত।