শিরোনাম
সিরাজগঞ্জে ভারতীয় সূতা উদ্ধার করেছে পুলিশ   » «    “প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে অন্যান্য ক্যাডারের ৫০% অন্তর্ভুক্তির পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ”   » «    ‘ক্রিসমাস ডে’ কে কেন বড়দিন বলা হয়?   » «    সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরল ২৬ বাংলাদেশি পুরুষ ও নারী   » «    চাঁদপুরে জাহাজে খুনের ঘটনায় আটক ইরফান   » «   

ক্ষেতলালে জমি বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ

জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে  সম্পত্তি ক্রয়ের বায়না চুক্তি করে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছে এক শিক্ষক পরিবার। বায়না শর্তের দলিল সম্পাদন বাবদ ৯ লাখ ৩০ হাজার  টাকা সমদয় গ্রহণ করেও চুক্তি গ্রহীতাকে নির্ধারিত সময় জমির রেজিস্ট্রি না দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকি বায়না গ্রহীতার কাছ থেকে ৯ লাখ ৩০ টাকা আত্মসাৎ করতে প্রতারক চক্রটি একই জমি দুইবার  বিক্রি চক্রান্তে লিপ্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্তরা হলেন  ক্ষেতলাল শাহপারা  মহল্লা মৃত জামলের স্ত্রী আসমা (৬৫) ও তার নাতি সান্ত (২৫) এতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীনসহ প্রতারক চক্রের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে আটকে শিক্ষক শফিকুল পরিবারটি চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।  চুক্তি ভঙ্গ করায় শিক্ষক শফিকুল ইসলাম  আসমা বেগমকে আসামী করে আদালতে মামলা করেছেন মামলা নং ১৬৩/২৩ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্ষেতলাল সাহপাড়া বাসিন্দার মৃত জামাল উদ্দীন সরদারের  স্ত্রী আসমা বেগমের কাছ থেকে টিনসিটের বাড়ি খতিয়ান ১৯২ স্থাপনাসহ ৪শতক সম্পত্তি ক্রয়ের চুক্তিপত্র সম্পন্ন হয়। (১১নভেম্বর) ২০২২ লিখিত এ চুক্তিপত্রের পর সম্পত্তির বাজার মূল্যের ১২ লাখ ৩০ হাজার টাকার মধ্যে সমদয়  গ্রহণ করেন আসমা ও তার নাতি সান্ত, একপর্যায়ে দলিল সম্পাদন বায়না গ্রহীতা কবলা দলিল রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করার তাগিদ দিলে দলিল সম্পাদন বায়নাদাতা নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকেন।
চুক্তিপত্রের শর্ত অনুযায়ী  (১১নভেম্বর) গ্রহীতা মো. শফিকুলের অনুকূলে সম্পত্তি কবলা দলিল রেজিস্ট্রির কথা থাকলেও অভিযুক্ত আসমা বায়না গ্রহীতাকে সম্পত্তি কবলা দলিল রেজিস্ট্রি না দিয়ে অর্থ আত্মসাতের চক্রান্তে লিপ্ত হয়। পরে আসমা  উক্ত সম্পত্তি তার নাতি সান্তকে সুকৌশলে ৯মার্চ ২০২২ সালে হেবা দলিল করে দেন এ ধারাবাহিকাতায় (৬নভেম্বর) সকাল ৮টায় বাড়ী দখল নিতে ওই শিক্ষক দম্পতির উপর হামলা করেন আহত শিক্ষক ত্রিপল লাইনে ফোন করে সহযোগীতা চান৷ এছাড়া দলিল সম্পাদন বায়না গ্রহীতাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকিসহ ভয়ভীতি করছে।
উত্থাপিত অভিযোগ প্রসঙ্গে আসমা ওতার নাতি সান্তর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি  বলেন শিক্ষক শফিকুলের  সঙ্গে সম্পত্তি বিক্রির বায়নাচুক্তি  ও বিভিন্ন দফায় নগদ অর্থ গ্রহণের কথা স্বীকার করেন। তবে তিনি বলেন, আমি টাকা ধার নিয়েছি নাতির চাকরির জন্য  বায়না চুক্তির শর্তপূরণ হলো ফাঁকা স্টেম্পে স্বাক্ষর করেছি তোতা ভাই সব জানে একই সঙ্গে এ বিষয় তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় এগোতে চাইছেন বলেও জানান।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * আত্মসাৎ * জমি বিক্রি * প্রতারণা
সাম্প্রতিক সংবাদ