মঠবাড়িয়ায় জেলেদের ভিজিএফের চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ
পিরোজপুর প্রতিনিধি:
মঠবাড়িয়া বড় মাছুয়া ইউনিয়নের মৎস্য মা ইলিশ সংরক্ষণ মৌসুমে কর্মহীন জেলেদের পুনর্বাসনের চাল বিতরণের প্রকৃত জেলেদের চাল না দিয়ে ওজনে কমসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যেক কার্ডধারী জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল দেয়ার নির্দেশ থাকলেও ২-৩ কেজি চাল কম এবং প্রকৃত দরিদ্র জেলে কার্ডধারীদের না দিয়ে সচ্ছল ব্যক্তিদের বিশেষ টোকেনের মাধ্যমে চাল দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে সোমবার (২৩ সেপ্টেস্বর) চাল বিতরণের সময় বড় মাছুয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠে। বড়মাছুয়া গ্রামের ইয়াহিয়া, রহিম হাওলাদারসহ একাধিক জেলে ২৫ কেজি ওজনের খোলা চালের বস্তা দোকানে ওজন দিয়ে দেখেন চাল ২৫ কেজি নয়, ২১ থেকে ২২ কেজি। ওজনে কম দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
সরে জমিনে দেখা যায়, গত রবি ও সোমবার স্থনীয় বড়মাছুয়া ইউনিয়েনের ৮ শ’৭৫ জন জেলের মধ্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়। অথচ গত মৎস্য সংরক্ষন মৌসুমের চাল বিতরণ না করে গুদামে রেখে নস্ট হওয়া দুই কিস্তির চাল এক সাথে দেওয়া হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাল বিতরণের জন্য নির্দেশ থাকলেও তা উপেক্ষা করা হয়। এতে জেলেদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অভিযোগ রয়েছে, ঐ ইউনিয়নের অসচ্ছল কার্ডধারী জেলেদের চাল না দিয়ে সচ্ছলদের চেয়াম্যানের নিজ ছবি সম্বলিত বিশেষ টোকেনের মাধ্যমে ভিজিএফের চাল প্রদান করা হয়। সচ্ছল ব্যক্তিরা সেই চাল বিক্রি করে দেয়। তবে অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির হাওলাদার বলেন গত সাত বছর ধরেই এমন বিশেষ টোকেন মাধ্যমে তিনি চাল বিতরণ করে আসছেন।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, চেয়ারম্যানের বিশেষ টোকেন দেখে মনে হচ্ছে তিনি তার নিজের টাকায় কিনে চাল গুলো দিচ্ছেন। তারা আরও জানান, এতো অভিযোগ তবুও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন।
ইউপি চেয়ারারম্যান নাসির হোসেন হাওলাদার চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চাল ঘাটতি, শ্রমিকদের মজুরি ও কার্ড বঞ্চিত হতদরিদ্র দুস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য কিছু চাল কম দিতে হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইযূম বলেন,অভিযোগ পেয়ে সোমবার থেকে ঐ ইউনিয়নে তদারকি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে চাল বিতরণ করা হয়েছে। ওজনে কম দেয়ার লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।