নগরকান্দায় গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
ফরিদপুর প্রতিনিধি:
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রবাসী এক যুবকের সাথে প্রেম সম্পর্কে গড়ে ওঠে দশম শ্রেণির ছাত্রী মারুফা আক্তারের। দীর্ঘদিন প্রেম সম্পর্ক চললেও সরাসরি তাদের দেখা হয়নি। এরই মধ্যে চলছিল তাদের বিয়ের কথাবার্তা। তবে বিয়ের করে সংসার পাতার আগেই মোবাইলে প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া করে গলায় ফাঁস দিয়ে নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছে মারুফা।
ঘটনাটি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের দুলালী গ্রামে ঘটে। নিহত মারুফা ওই গ্রামের মো. মান্দার মোল্যার মেয়ে। তিনি স্থানীয় ব্রাহ্মণডাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। ময়না তদন্ত শেষে রবিবার (১৫ আক্টোবর) বিকেলে মারুফার লাশ দাফন করা হয়। এর আগে শনিবার রাতে নিজ বসতঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করে বলে জানান তার পরিবার।
মারুফার মা ও ভাই অভিযোগ করে জানান, মারুফা মেধাবী ছাত্রী ছিল। কিন্তু কয়েক মাস আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাশ্ববর্তী ঘোনাপাড়া গ্রামের মো. কাদের ফকিরের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী কাঞ্চন ফকিরের সাথে মারুফার প্রেম সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানার পর ওই ছেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারুফাকে বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেয়।
তারা আরও জানান, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দুই মাস আগে কাঞ্চনের পরিবার এসে মারুফাকে দেখে যান। তবে ছেলের পরিবারের পছন্দ না হওয়ায় তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ছেলে ও মেয়ের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। তবে মারুফা সাথে কাঞ্চনের কথা হতো ফোনে। শনিবার সন্ধ্যায় দুইজনে ফোনে কথা বলতে বলতে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে। পরে মারুফা গলায় ফাঁস নিয়ে নিজ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন বলেন, ঘরের আড়ায় ঝুলন্ত অবস্থায় মারুফাকে উদ্ধার করে মুকসুদপুর হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার। সেখানে নেওয়ার পর কর্মরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। যে কারণে তার ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে গোপালগঞ্জে।
তিনি আরও বলেন, কি কারণে মারা গেছে তা জানি না। এ বিষয় পরিবার পক্ষ থেকে এখনো থানায় কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।