টিআরএম বাস্তবায়নে সাতক্ষীরায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের সাথে আলোচনা সভা 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমে নদীতে জোয়ার-ভাটা ইকোসিস্ট অ্যাডাপ্টেশনের জন্য জনগণের পরিকল্পনা টিআরএম বাস্তবায়নে প্রভাব এবং শক্তির ফলাফল সম্পর্কে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের সাথে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা সদরের মাছখোলা বাজারে এনজিও সংস্থা উত্তরণের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, ৯নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন ঢালী।
কেন্দ্রীয় পানি কমিটির সদস্য শেখ সেলিম আকতারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ৯নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানল চেয়ারম্যান মো: নূরুল হুদা, মহিলা সদস্য মোছা: রাবেয়া সুলতানা, মোছা. মর্জিনা বেগম, মোছা. আফরোজা খাতুন,বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী অববাহিকার কমিটির সভাপতি মো.মফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো.আব্দুর রউফ বাবু, জেলা নাগরিক ও পানি কমিটির সদস্য মো. আব্দুল জব্বার, মো. আক্তারুল ইসলাম,
উত্তরণের প্রতিনিধি প্রফেসর হাসেম আলী ফকির, তানিয়া  মো. গোলাম হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল দলের নির্বাচনী ইশতেহারে সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল অঞ্চলের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসন ও নদীর নাব্যতা রক্ষায় ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ এর নির্দেশনা অনুসারে টেকসই পলি ব্যাবস্থাপনার জন্য প্রত্যেক নদী অববাহিকায় TRM বাস্তবায়নের বিষয়টি নির্বাচনী ইশতেহারের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল অঞ্চলের খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলায় ৬০ লক্ষ লোকে বসবাস। দীর্ঘদিন যাবত এ এলাকা নদী ভরাট ও জলাবদ্ধতা সমস্যায় আক্রান্ত। নদীসমুহে জোয়ারের পানিতে আসা পলি সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে এ সমস্যা আরও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।এ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশন ব্যাবস্থার উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নদীর নাব্যতা রক্ষায় সরকারের গ্রীহিত বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ তে এ অঞ্চলের মরিচ্চাপ, বেতনা, কপোতাক্ষ, শ্রী হরি, ভদ্রা, ঘ্যাংরাইল ও হামকুড়াসহ ৭ টি নদীর অববাহিকায় টেকসই পলি ব্যাবস্থাপনার জন্য মোট ৩৮ টি বিলে জোয়ার ভাটার নদী ব্যবস্থাপনা প্রকল্প/ Tidal Riv Managenent (TRM) বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আমাদের বেতনা ও মরিচ্চাপ আববাহিকার ১২ টি বি TRM বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ এর নির্দেশনা আছে। বর্তমানে এ নদীর পলি অপসারণের কাজ চলছে। কিন্তু নদীর নাব্যতা রক্ষার জন্য টিআরএম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।ফলে জোয়ারের পানিতে আসা পলি নদীতে জমে নদীগুলো ভরাট হয়ে যাবে ও আবারো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। এক এলাকার উৎপাদন ব্যবস্থাসহ পরিবেশ প্রতিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখিন হচ্ছে।
অতএব এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস, নদী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় টেকসই গলি ব্যাবস্থাপনার জন্য প্রত্যেক নদী অববাহিকায় TH বাস্তবায়নের বিষয়টি সব দলের নির্বাচনী ইশতেহারে সংযুক্ত করার জন্য সুপারিশ জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন,অনতি বিলম্বে বেতনা ও মরিচাপ অববাহিকায় টিআরএম বাস্তবায়ন করা। এতে বর্তমানে যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে তা কার্যকরী ও ফলপ্রসূ হবে।পৌন্ডায় অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ আবদ্ধ নদীগুলো মুক্ত করে ইছামতি, মরিচ্চাপ ও বেতনা নদীর সাথে যোগ প্রদান করা। এতে এলাকার নিস্কাশন ব্যবস্থা, পরিবেশ-প্রতিবেশ ও পানি সম্পদের বহুমুখী ব্যবহার সহ সার্বিক বিষয়ের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাবে।সকল ধরণের কর্মকান্ডে জনগণকে যুক্ত করা এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থা সমূহের সমন্বয় নিশ্চিত করা।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * টিআরএম বাস্তবায়নে প্রভাব * সাতক্ষীরা * সুশীল সমাজ
সর্বশেষ সংবাদ