সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ওসিকে অপসারণ চায়ে আন্দোলনে সাধারণ মানুষ
সিলেট প্রতিনিধি :
সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ওসিকে অপসারণ চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ থেকে একটি সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোলাপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রফিকুল ইসলামের প্রত্যাহার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক ও জনসাধারণ। সূত্রে জানা যায়, গোলাপগঞ্জ পৌর শহরে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেছে বাস ট্রাক, সিএনজি অটোরিকশা, মাইক্রোবাস চালক শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অবরোধ শুরু করেন তারা।
তাদের যুক্ত হন দীর্ঘনের ক্ষোভের ধানা বাধা কিছু সংখ্যক সাধারণ মানুষ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বেলা পৌনে ২টায় পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত রয়েছে।
গোলাপগঞ্জ মাইক্রোবাস শ্রমিক উপ কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া জানান, গত ২৫ সেপ্টেম্বর হেতিমগঞ্জে বাঘার একজন ব্যক্তিকে আমাদের একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর ২ অক্টোবর (সোমবার) আহত ওই ব্যক্তি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি বলেন, ওই ব্যক্তির পরিবারের সাথে শ্রমিকদের সমঝোতা হলে নিহত ব্যক্তির পরিবার মামলা করবে না বলে জানায়। পরিবারের সদস্যরা নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের আবেদন করে। এজন্য গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয়। কিন্তু নানা অজুহাতে তিনি সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সোমবার ওসি জানান তিনি স্বাক্ষর দিতে পারবেন না। এর প্রতিবাদে আমরা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রেখেছি।
এ ব্যাপাওে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের সাথে একাধিবোর যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে, অবরোধের শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধি দল গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় প্রবেশ করেছে বিষয়টি সমাধানের জন্য। এখনো থানা পুলিশের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে।
এদিকে প্রায় সাড়ে ৩ঘন্টা ধরে সড়ক অবরোধের কারণে দুদিকে অনেক গাড়ি আটকা পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এ দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভূক্তভোগী জানান, গোলাপগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি থানায় কোন কাজ নিয়ে গেলে সততার বাণী শোনান, কিন্তু অন্তরালে মোটা অংকের টাকা ছাড়া তিনি কিছুই করেন না। এমনও অভিযোগ করেন ছোট খাটও বিষয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আসামী ধরে এনে মামলা রেকর্ড করে থাকেন। এ নিয়ে পদে পদে হয়রাণী থেকে তারাও আন্দোলনে যোগ দিয়ে অপসারণ দাবী করেন।