বাগেরহাটে মসজিদের ৩ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার প্রায় দুইশত বছরের পুরাতন রাড়ীপাড়া জামে মসজিদের ফান্ডের ৩লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ড বাজারের অগ্রনী ব্যাংকের শাখা থেকে ভ’য়া রেজুলেশনের মাধ্যমে এ টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে জানা যায়। দীর্ঘ দুইশত বছরের এ পুরাতন মসজিদের টাকা আত্মাসাতে স্থানীয় লোকজন ও মুসল্লিদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এলাকার সবচেয়ে পুরাতন এই রাড়ীপাড়া জামে মসজিদে পাশেই দেড় বছর আগে আল মদিনা নামে একটি নতুন মসজিদের কাজ শুরু করে। নতুন মসজিদের কার্যক্রম শুরু হলেই মুসল্লিদের একটি পক্ষ বাধা প্রদান করে। তারা পাশাপাশি দুটি মসজিদের প্রয়োজন নেই বলে জানান। কচুয়া সদর উপজেলায় উভয় পক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নতুন একটি কমিটি করে বিষয়টি সমাধান করা হয়।

কমিটিতে মোল্লা সিদ্দিকুর রহমানকে সভাপতি ও মোঃ রেজাউল ডাকুয়াকে সাধারন সম্পাদক করে ২০২২ সালের ১৮ মার্চ ৩বছরের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। তারাসহ ক্যাশিয়ার বাবুল ডাকুয়া রাড়ীপাড়া জামে মসজিদের ব্যাংক একাউন্ডের হিসাব পরিচালনা করবেন বলে স্বিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু হঠাৎ গত ২০২৩ সালের ২৫মে খানঁ সোলায়মান হোসেনের সভাপতিত্বে অত্র মসজিদে একটি জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় স্বিদ্ধান্ত হয় মোল্লা আছাদুর রহমান ও মোল্লা মোস্তফা কামাল এখন থেকে রাড়ীপাড়া জামে মসজিদের ব্যাংক হিসাব দেখাশুনা করবে। এটি রেজুলেশন করে ব্যাংকে জমা দেয় ও ২০ জুলাই ১ লক্ষ, ১৪ আগস্ট ১ লক্ষ ও ০৭ সেপ্টেম্বর ১ লক্ষ টাকা অগ্রনী ব্যাংকের সাইনবোর্ড শাখা থেকে উত্তোলন করে। রাড়ীপাড়া জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক মোঃ রেজাউল ডাকুয়া জানান, ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনার বিষয়ে মসজিদে কোন মিটিং না করে একটি ভুয়া রেজুলেশন তৈরী করা হয়।

রেজুলেশনে অনেক উসল্লিদের নামে সাক্ষর রয়েছে কিন্তু তারা জানিয়েছে মসজিদের কোন বিষয়ে তারা সাক্ষর করেননি। তিনি বলেন, অগ্রনী ব্যাংকের সাইনবোর্ড শাখা ব্যবস্থাপক বিষয়টি সঠিক যাচাই না করে এ কাজটি করেছে। তিনি মসজিদের ফান্ডের টাকা ফেরতসহ টাকা আত্মসাতের সাথে যারা সংশ্লিস্ট তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

এ বিষয়ে রাড়ীপাড়া জামে মসজিদের মুসল্লী নজু শিকদার জানান, শুনেছি রেজুলেশনে আমার সাক্ষর রয়েছে। কিন্তু আমি মসজিদের কোন মিটিংয়ে আমাকে ডাকা হয়নি ও কোন সাক্ষর ও করি নাই। এছাড়া সোহাগ ডাকুয়া, হাকিম হাওলাদার নামে একাধিক মুসল্লিও রেজুলেশনে সাক্ষরের বিষয়ে একই অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোল্লা মোস্তফা কামালের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে অগ্রনী ব্যাংকের সাইনবোর্ড শাখা ব্যবস্থাপক মহাদেব জানান, বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের সাথে কথা বলেছি। মোল্লা আছাদুর রহমান ও মোল্লা মোস্তফা কামাল তারা আগামী সোমবারের মধ্যে রাড়ীপাড়া জামে মসজিদের একাউন্টে উত্তোলনের সমূদয় টাকা ফেরত দিবে বলে জানান।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * আত্মসাত * বাগেরহাট * মসজিদ