রাণীশংকৈলে বেইলি ব্রিজের সড়ক ভেঙে দুই উপজেলার মানুষের চরম ভোগান্তি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
বৃষ্টির পানিতে অস্থায়ী সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার মধ্যে সকল প্রকার গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। সড়কটি ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের রামপুর বাজার নামক এলাকায়। সেখানে পূর্বের লোহার বেইলি ব্রিজ ভেঙ্গে নতুন করে কংক্রিটের ব্রিজ তৈরীর কাজ চলমান রয়েছে।
ব্রিজের পাশ দিয়ে চলাচলের জন্য মাটি দিয়ে অস্থায়ী সড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল। সে সড়কটি গত চার দিনের টানা বৃষ্টির পানিতে রাস্তাটি ভেসে যাওয়ায় গাড়ী চলাচলে দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে সোমবার(২৫ সেপ্টেম্বর) গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার রামপুর এলাকায় ব্রিজের কাজ প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে।
ব্রিজটির উত্তর দিকে চলাচলের জন্য নির্মাণাধীন অস্থায়ী সড়কটির ঠিক মাঝ দিয়ে স্রোতের বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। দুই পাশে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছে। ব্রিজের দুই পাশে ব্যাটারী চালিত অটো বাইক রয়েছে। নির্মাণাধীন ব্রিজের মাঝে কাঠ দিয়ে অস্থায়ী সড়ক বানিয়ে দুই পাশের পথচারীরা পায়ে হেটে কোন রকম চলাচল করছে। তারা পায়ে হেটে দুই পাশে পার হয়।
অটো কিংবা অন্য কোন যানবাহনে তাদের গন্তব্যস্থলে যাচ্ছে। তবে সাইকেল মোটরসাইকেলসহ কোন গাড়িই পারাপার হতে পারছে না। চলাচল যেন এক দূর্ভোগে পরিণত হয়েছে। পথচারী রুবেল আলী জানান, হরিপুর উপজেলা থেকে জরুরী কাজে জেলা সদরে যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়ে দেখি রামপুরের সড়ক পানিতে ভেসে গেছে। বাধ্য হয়ে এখন অন্য কোন পথ দিয়ে যেতে হবে।
একইভাবে রাণীশংকৈল থেকে হরিপুর যাওয়ার এক পথচারী বলেন, জরুরী কাজে হরিপুর যাবো এ জন্য থ্রি হুইলারে চড়ে এসে দেখি এখানকার(রামপুর) সড়ক পানিতে। তাই থ্রি-হুইলার থেকে নেমে খুব সতর্কতার সহিত নির্মাণাধীন ব্রিজের উপর দিয়ে পার হয়ে হরিপুরগামী অটো চেপে যাচ্ছি হরিপুরে। পথচারীরা দ্রুত এ সড়কটি সচলের দাবী তুলেছেন। তবে অনেকেই বলছেন একটি ব্রিজ নির্মাণ করতে এত সময় লাগে কেন?
এ ব্যাপারে নন্দুয়ার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল বারী বলেন, ঠাকুরগাঁও থেকে ব্রিজের প্রকৌশলী ও ঠিকাদার এসেছে তারা বিকেলে সড়কটির পূনরায় সংস্কার করে চলাচলের ব্যবস্থা করে দিবেন বলে তাকে জানিয়েছেন। ঠাকুরগাঁও সহজ নির্বাহী প্রকৌশলী রাফিউল ইসলাম বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে এবং কৃষকেরা তাদের চাষাবাদকৃত ধান বাচানোর লক্ষে সড়কটি হয়তো বা কেটে দিয়েছে। পানি স্বাভাবিক হলেই সড়কটি পূণরায় সংস্কার করে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।