নিখোঁজের ১৫ দিন পর গৃহবধুর লাশ উদ্ধার, দাফনের ৫ দিন পর জীবিত উদ্ধার!
সদরপুর ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় হাসি আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধু নিখোজ হয়। নিখোজের ১৫ দিন পর লাশ উদ্ধার এবং দাফনের ৫ দিন পর ওই গৃহবধুকে জীবিত উদ্ধার করেছে সদরপুর থানা পুলিশ।
গৃহবধু হাসি আক্তারের বাড়ি সদরপুর উপজেলার শৈলডুবী গ্রামে বলে জানা গেছে। তার বাবার নাম হাবিবুর রহমান শেখ। তার পারিবারিক সুত্র জানা গেছে গত ৮ বছর আগে একই উপজেলার চরবিষ্ণুপুর বড়বারির মৃত্যু শাহ আলমের ছেলে মোতালেব শেখের সাথে বিয়ে হয়। তাদের ৭ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর শ্বশুর বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ বিল দিতে সদরপুর আসে হাসি আকতার। তার পর আর বাড়ি ফিরে যায়নি।
এঘটনায় হাসি আক্তারের বাবা হাবিবুর রহমান ১৩ সেপ্টেম্বর জামাই কে দায়ী করে একটি সাধারন ডায়েরী করেন তাতে উল্লেখ করেন তার মেয়েকে মেরে গুম করা হয়েছে। অপরদিকে হাসি আক্তারের স্বামী মোতালেব শেখ ১৪ সেপ্টেম্বর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সাধারন ডায়েরী করেন তার স্বার্নালংকার নিয়ে স্ত্রী পালিয়ে গেছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর ভাংগা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের নাউটানা খালে কচুরীপানার মধ্যে অজ্ঞাত এক গৃহবধুর অর্ধগলিত লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী।
খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ভাংগা থানার পুলিশ। পরে নিখোজ হাসি আক্তারের মা সালমা বেগম লাশের পরনের লাল পায়জামা ও পায়ের একটি আংগুল ছোট বলে লাশ নিজের মেয়ের দাবী করে। পুলিশ ময়না তদন্ত শেষে ও আইনিপ্রক্রিয়া শেষ করে শৈলডুবী মদিনাতুল কবরস্থানে দাফন করেন। অপরদিকে জামাই শ্বশুরের অভিযোগ পালটা অভিযোগে মধ্যেই নিখোজ হাসি আক্তার ফোন করে জানায় সে জীবিত আছে।
সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর সদরপুর থানা পুলিশ নিখোজ গৃহবধু হাসি আক্তার কে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে জীবিত উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন তাহলে দাফন কৃত লাশটি কার।