শিরোনাম
ফরিদপুরে ঐতিহ্যবাহী খেজুর গুড় তৈরিতে ব্যস্ত খেজুর গাছীরা   » «    মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে জুতা পরে হিরো আলম ও রিয়া মনি   » «    পাকিস্তান থেকে দ্বিগুণ পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আবার এলো সেই জাহাজ   » «    পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো স্বৈরাচারের ফিরে আসার নজির নেই : চৌদ্দগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর যুব সম্মেলনে ডা. তাহের   » «    ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে থাকা আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতার অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা ইব্রাহিম   » «   

বিএনপি: সেপ্টেম্বর মিশণ ব্যর্থ, অক্টোবরে শেষ চেষ্টা, অত:পর

 নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অসগশগ্রহন করবে কি করবে না সেটি কোটি টাকার প্রশ্ন।  বিএনপির নেতার এখনও বলছেন একদফা আন্দোলনের মাধ্যমে তারা দাবী আদায়ে সরকারকে বাধ্য করবেন। সরকারকে হটাবেন।
কিন্তু এই সরকার হটানোর জন্য বিএনপির হাতে যতটুকু সময় আছে সেই সময়ে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দলও গণঅভ্যুত্থান করতে পারে না। বিএনপির মত ক্ষয়িষ্ণু একটি রাজনৈতিক দল এই সময়ের মধ্যে সরকারের পতন ঘটিয়ে ফেলবে কিভাবে তা নিয়ে বিএনপি নেতাদের মধ্যেই নানারকম কথাবার্তা শুরু হয়েছে।
 বিএনপির নেতারা নিজেরাও স্বীকার করেছে যে তাদের পরিকল্পনা ছিল পুরো সেপ্টেম্বর মাস আন্দোলন করে সরকারকে কাঁপিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু সেপ্টেম্বরের আন্দোলনে সরকার কাপেনি বরং ইদানিং আন্দোলনে নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশার ভাব লক্ষ্য করা গেছে।
 বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে রোডমার্চ কর্মসূচি বিএনপি পালন করছে সে রোডমার্চ কর্মসূচি জনগণের মধ্যে সাড়া জাগাতে পারেনি।
এখন বিএনপি নেতারা অবশ্য বলছে তারা অক্টোবরে চূড়ান্ত যুদ্ধ করবেন। এর আগে অবশ্য বিএনপি বিভিন্ন সময় বলত ঈদের পর আন্দোলনের মাধ্যমে তারা সরকার পতন ঘটাবে।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তারিখ দিয়ে তারা সরকার পতনের হুমকি দিত। ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে বেগম খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে এমন হুমকিও দেয়া হয়েছিল। বাস্তবে সেসব হুমকি কাজে লাগেনি।কাগুজে বাঘ হয়ে রয়ে গেছে।
এখন বিএনপি নেতারা বলছেন যে অক্টোবরে তাদের শেষ চেষ্টা। সেপ্টেম্বরের এই রোডমার্চ এবং বিভিন্ন সমাবেশ দিয়ে তারা কর্মীদের চাঙ্গা করে অক্টোবরে তারা ঢাকাকে অবরুদ্ধ করে একটি অচল অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়।
যেই অচল অবস্থার মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব হবে। কিন্তু এইরকম অক্টোবরে তৈরি করা যাবে কিনা তা নিয়ে বিএনপির মধ্যেও সংশয় দেখা দিয়েছে।
কেউ কেউ বলছেন যে, অক্টোবরের মধ্যে যদি বিএনপি বড় ধরণের আন্দোলন সৃষ্টি করতে না পারে সেক্ষেত্রে কি হবে? এরকম প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতারা রহস্যময় ভূমিকা রাখছেন। তারা কোনকিছু বলছেন না। তারা শুধু একটি কথাই বলছেন যে আন্দোলনের মাধ্যমে তারা সরকারের পতন ঘটাতে সক্ষম হবেন।
এখন প্রশ্ন হল নির্বাচন কমিশন নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
 তাহলে অক্টোবরের মধ্যে যদি বিএনপি আন্দোলনের মাঠ গরম করতে না পারে, তাহলে কি বিএনপি নির্বাচনে যাবে? অনেক বিএনপি নেতাই এখন আকার ইঙ্গিতে বলছেন যে, নির্বাচনের প্রস্তুতিও তাদের আছে।
 বিভিন্ন নির্বাচনি এলাকায় তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। অক্টোবরে যদি তারা দেখে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসছে না, জনগণ তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না, তাহলে হয়ত তারা নির্বাচনের পথেই হাঁটবে।
 কিংবা এই আন্দোলনকে তারা এগিয়ে নেবে জানুয়ারি পর্যন্ত এবং নির্বাচনের সময় একটি বড় ধরণের গোলযোগ করার চেষ্টা করবে। বিএনপির নেতারা এখন হিসেব করে দেখছেন যে কোন বিকল্পটি তাদের জন্য ইতিবাচক হবে।
 যদি নির্বাচনে গিয়ে কিছু আসন পাওয়া যায় তাহলে তাদের জন্য লাভ নাকি অক্টোবরের পর আরও জোরালো আন্দোলন করে নির্বাচন বানচাল করলে তাদের লাভ। বিএনপির কোন কোন নেতা মনে করছেন নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা ২০১৪ সালেও তারা করেছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি।
তখন বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি যেটি পারেননি সেটি মির্জা ফখরুলরা পারবেন এটি বিএনপির কেউই বিশ্বাস করেনা।
তাছাড়া এখন তৃণমূল বিএনপির নেতারা বিএনপির প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন। আর এই নানারকম প্রলোভন এবং অর্থ নিয়ে তারা ঘরাফেরা করছেন।
এই অবস্থায় বিএনপি যদি অক্টোবরের পর নির্বাচন বর্জনের আন্দোলনের ডাক দেয় তাহলে বিএনপির ভাগ্যে কি হবে সেটিই দেখায় বিষয়।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * অক্টোবরে শেষ চেষ্টা * সেপ্টেম্বর মিশণ ব্যর্থ
সাম্প্রতিক সংবাদ