শিরোনাম
জামায়াত ইসলামীর প্রতি রিজভী প্রশ্ন: আপনারা কোন কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন, স্বাধীনতায় আপনাদের ভূমিকা কি ছিল?   » «    শওকত ওসমান: বৈষম্যবিরোধী এবং মানবতার আলোকবর্তিকা   » «    গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা   » «    সাদ্দাম হলের অব্যবস্থাপনায় ভোগান্তি শিক্ষার্থীদের   » «    রাজধানীতে বেড়েছে শীতের দাপট, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে   » «   

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক আছে,এমন শতাধিক আমলাকে গুটিয়ে নিচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে সরকার নির্বাচনের প্রশ্নে অটল। সরকারের নীতিনির্ধারক মহলে সুস্পষ্টভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো প্রকারে নির্বাচন করা হবে।
কোন দল আসলো না আসলে সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। সরকারের নীতিনির্ধারক মহল আশাবাদী যে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে বিএনপির একটি অংশ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী দলগুলো অংশগ্রহণ করবে।
এছাড়াও মহাজোটের শরিক দলগুলো নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। বিএনপির দুই শতাধিক নেতা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত—এমন তথ্য সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার কাছে রয়েছে।
এ অবস্থায় সরকার অন্য দেশ কি বলল বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি বলল না বলল সেদিকে তাকাতে চায় না। তবে এক্ষেত্রে সরকারের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রশাসনে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে এবং অন্যান্য স্পর্শকাতর জায়গায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কিত বেশকিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
 বিশেষ করে যাদের পরিবারের সদস্যরা পুত্র, স্ত্রী সন্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকে। যাদের নিকট আত্মীয়রা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থাকে অনেকেই সেখানে নামে ঘর বাড়ি বানিয়েছেন।
 অনেকেই সেখান থেকে গ্রিনকার্ড নিয়েছেন বা অনেকের নিকট আত্মীয়রা সেখানে গ্রীনকার্ড নিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কিত এরকম ব্যক্তি যারা সরকারি বিভিন্ন পদে আছেন তাদের তালিকা সরকার চূড়ান্ত করে ফেলেছে। এরকম তালিকায় দুই শতাধিক ব্যক্তি রয়েছেন।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, সিভিল প্রশাসন যারা নির্বাচনের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যার মধ্যে সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন তাদেরকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে।
এই তালিকায় আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য যারা নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও আরও স্পর্শকাতর কিছু সরকারি সংস্থার ব্যক্তিদেরও তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কিত।
এই তালিকায় যাদের নাম থাকবে অর্থাৎ যাদের কোনো না কোনো সূত্র বা আত্মীয় স্বজন, সন্তান-সন্ততি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং যারা ভিসা নীতির ফলে আতঙ্কিত হতে পারেন এবং নানা রকম ভাবে প্রভাবিত হতে পারেন তাদেরকে নিষ্ক্রিয় করবে সরকার। এই সমস্ত ব্যক্তিদেরকে নির্বাচনী কর্মকান্ডের দায়িত্ব থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে সরকার।
সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, প্রতিটি বিভাগেই আলাদা আলাদা ভাবে তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি তাদের জন্য কোন শাস্তি নয় বরং তারা যেন মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় না আসে এজন্যই তাদেরকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রাখা হচ্ছে।
 এমন সব ব্যক্তিদেরকে দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করা হবে যাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোন সম্পর্কই নাই। এখন নতুন যে জেলা প্রশাসকদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেই নিয়োগে সুস্পষ্টভাবে তথ্য নেয়া হচ্ছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার সন্তান-সন্ততি বা এমন কোন নিকট আত্নীয় আছেন কিনা যার ওপর তিনি নির্ভরশীল।
একইভাবে যারা এসপি পদে নিয়োগ পাচ্ছেন তাদেরও এই তথ্যটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নির্ভরশীল নয় এমন ব্যক্তিদের দিয়েই মাঠ প্রশাসন সাজানো হবে এবং নির্বাচনের দায়িত্বে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তারাই যুক্ত থাকবেন।
 ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি অকার্যকর হয়ে পড়বে। এই কৌশল নিয়েই সরকার তালিকাগুলো চূড়ান্ত করেছে এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই মার্কিন প্রভাবমুক্ত কর্মকর্তারাই প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোতে যাবেন বলে সরকারের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * আমলাকে গুটিয়ে নিচ্ছে সরকার
সাম্প্রতিক সংবাদ