গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের সমাজসেবককে ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালানোর অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বড় জামালপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিন মন্ডল কর্তৃক টাকা আত্নসাতের চেষ্টা: অপরদিকে সমাজকর্মী মাহিন ও শামীম এর বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রচার এবং সাদুল্যাপুর থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের এর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী মাহিন ও শামীম।
বৃহস্পতিবার বিকালে গাইবান্ধা শহরের হকার্স মার্কেটে সংবাদ সম্মেলনে সাদুল্লাপুর উপজেলার পাতিলা কুড়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে মাহিন মিয়া ও রাজা মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাহিন মিয়া ও শামীম মিয়া বলেন যে, একই উপজেলার বড় জামালপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিন মন্ডলের ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য আতিকুর রহমান মন্ডল নিজ বাড়ি সংলগ্ন বড় জামালপুর সমাজ কল্যাণ সংস্থার পরিচালনায় আদর্শ গরু খামারি ও দুদ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি নাম দিয়ে একটি খামার স্থাপন করেন। আতিকুর রহমান নিজেই কিছুদিন খামারটি পরিচালনা করার পর আমাদের কে খামার দেখাশোনা তথা খামারে চাকরি করার জন্য প্রস্তাব দেয়। এতে আমরা খামারের মালিক আতিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে আতিকুর রহমান ফেরত যোগ্য জামানত হিসেবে আমাদের (মাহিনের নিকট হইতে ১,১০,০০০/ এক লক্ষ দশ হাজার টাকা এবং শামীম এর নিকট হইতে ৫০,০০০/ পঞ্চাশ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।) আতিকুর কিছুদিন আমাদের সাথে থেকে খামার এর ব্যবসায়ীক কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনে দেশের বাহিরে মিশনে চলে যায়।
আতিক দেশে থাকা অবস্থায় এলাকার বিভিন্ন খামারীদের নিকট হইতে বাকিতে দুধ নেওয়া খামারীরা আমাদের নিকট পাওনা টাকা দাবি করেলে আতিকুর দেশের বাইরে থাকায় আমরা আতিকুর এর পিতা শাহাবুদ্দিন মন্ডলের সাথে কথা বললে শাহাবুদ্দিন মন্ডল তার ছেলে আতিকের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। কিন্তু তিনি বার বার এই কথা বলে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার ছেলে আতিকুরের এবং নিজের দায় এড়ানোর জন্য ও আমাদের জামানতের টাকা সহ বকেয়া বেতনের টাকা আত্মসাৎ করার অপচেষ্টায় আমাদের দুইজনের উপর উক্ত দায় চাপিয়ে দিয়ে শাহাবুদ্দিন মন্ডল বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে উপরে উল্লেখিত অনলাইন পোর্টাল গুলোতে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেন এবং সাদুল্লাপুর থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। যাহা সম্পন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বটে। তাই সাংবাদিক সম্মেলনে আমরা আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।