ভারতীয় এ্যাম্পল ইনজেকশন ও ফায়ারডিল মাদকসহ এক কারবারি আটক
জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় একশত আটষট্টি বোতল নেশা জাতীয় ভারতীয় ফায়ারডিল ও এক হাজার নয়শত ষাট পিচ ভারতীয় নেশা জাতীয় ভারতের নিষিদ্ধ এ্যাম্পল ইনজেকশনসহ বজলুর রশিদ ওরফে বল্টু মিয়া (২৮) নামে একজন মাদক কারবারিকে আটক করেছে ২০ বিজিবি ব্যাটালীয়নের হাটখোলা ক্যাম্পের সদস্যরা এসময় মাসুদ মিয়া (২০) ও বাবু মিয়া (৫০) নামে অপর দুইজন মাদক ব্যবসায়ী দৌড়ে পালিয়ে যান।
রোববার (২৭ আগস্ট) তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার (২৬ আগস্ট) রাতে উপজেলার ধরঞ্জি ইউপির সীমান্ত ঘেষা উচনা গ্রামে থেকে তাকে আটক করা করা হয়। আটককৃত বজলুর রশিদ ওরফে বল্টু মিয়া উপজেলার ধরঞ্জি ইউনিয়নের পশ্চিম উচনা গ্রামের কাশেম মিয়ার ছেলে। আর পালাতক ব্যক্তিরা একই গ্রামের আতোয়ার আলীর ছেলে মাসুদ মিয়া ও আবুল হোসেনের ছেলে বাবু মিয়া বলে মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়
সুত্র জানায়, ভারত সীমানার ২৮১ পিলারের ২০০ গজ দূরে উপজেলার উচনা গ্রামের জমির মধ্যে দিয়ে কযেকজন মাদক নিয়ে বাংলাদেশের দিকে আসছিল। সেই তথ্যানুসাবে নায়েক সুবেদার মো: আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে গোপনীয় ফাঁদ পেতে থাকেন হাটখোলা বিওপি সদস্যরা।
তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনজন ব্যক্তি কৌশলে দৌড়ায়ে পালানোর চেষ্টাকালে বজলুর রশিদ ওরফে বল্টু মিয়াকে গ্রেফতার করিতে সক্ষম হন এবং মাসুদ মিয়া ও বাবু মিয়া নামে অপর দুইজন মাদক ব্যবসায়ী দৌড়াইয়া পালাইয়া যায়। এসময় একশত আটষট্টি বোতল নেশা জাতীয় ভারতীয় নিষিদ্ধ ফায়ারডিল ও এক হাজার নয়শত ষাট পিচ নেশা জাতীয় এ্যাম্পল ইনজেকশন পাওয়া যায়। যার বর্তমানে মূল্য ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৬০০ টাকা।
জয়পুরহাট ব্যাটালীয়ান (২০ বিজিবি) হাটখোলা বিওপি’র নায়েক সুবেদার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামিকে মাদকসহ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে৷