শিরোনাম
সিরাজগঞ্জে ভারতীয় সূতা উদ্ধার করেছে পুলিশ   » «    “প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে অন্যান্য ক্যাডারের ৫০% অন্তর্ভুক্তির পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ”   » «    ‘ক্রিসমাস ডে’ কে কেন বড়দিন বলা হয়?   » «    সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরল ২৬ বাংলাদেশি পুরুষ ও নারী   » «    চাঁদপুরে জাহাজে খুনের ঘটনায় আটক ইরফান   » «   

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু, আইনজীবীর আদালত বর্জনের হুমকি

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলবিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন সাক্ষ্যগ্রহণে অনিয়ম হলে আদালত বর্জনের হুমকি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ড. ইউনূসের পক্ষে আরও ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, মাননীয় আদালত উনারা যেভাবে লিডিং প্রশ্ন করছেন, তাতে তো বিচার হবেনা। এক কাজ করেন, আমরা চলে যাই একা একা রায় দিয়ে দেন। আমরা কোর্ট বর্জন করবো, উনাদের বসতে বলেন। সংবিধানের আলোকে বিচার করুন মাননীয় আদালত।
তিনি আরও বলেন, এ কেমন বিচার যেখানে সাক্ষীকে সাক্ষ্য শিখিয়ে দেয়া হচ্ছে। উনারা মিস লিড করেই যাবেন আমরা তা শুনেই যাবো? আর এক লাইন বললে কোর্ট বর্জন করবো। এ সময় আদালত বলেন, উভয়পক্ষের সহযোগিতা লাগবে। উনাকে উনার সাক্ষ্য নিতে দেন লার্নেড, বললেন বিচারক। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং সাক্ষগ্রহণ চলে।
সাক্ষ্যগ্রহণে সাক্ষী বলেন, নোটিশের জবাবেই উনারা তাদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। আমরা ন্যায় বিচার চাই। এরপরে জেরা করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী। গত ৬ জুন এ মামলায় বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকার শ্রম আদালত। পরে এ আদেশে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে গিয়েও হেরে যান ড. ইউনূস।
ইউনূসের সঙ্গে মামলার অন্য তিন আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনে ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে আদালত। একইসঙ্গে মামলা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আপিল বিভাগ ২০২২ সালের ১৩ জুন দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে হাই কোর্টকে নির্দেশ দেয়। বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাই কোর্ট শুনানি করে ২০২২ সালের গত ১৭ অগাস্ট রুল খারিজ করে রায় দেয়। ফলে ইউনূসের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * নোবেলবিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস * শ্রম আইন লঙ্ঘন * সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
সাম্প্রতিক সংবাদ