সৈয়দপুরে তিনদিন ব্যাপী রোবোটিকস কর্মশালা শুরু
শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর(নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রায় ৮ শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে তিন দিনব্যাপী রোবোটিকস কর্মশালা শুরু হয়েছে। ‘কিছু করি’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আয়োজনে শুক্রবার (১১ আগস্ট) বেল ৩ টায় স্থানীয় ড্রিমপ্লাস এন্ড রিসোর্টে ওই কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়। প্রধান অতিথি সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর এমপি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন।
কিছু করি সংগঠনের সভাপতি ম ম রেজাউল হক বিদ্যুৎ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল রায়হান।
এতে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাক অন্বেষার প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী ও ব্র্যাক ইনভার্সিটির লেকচারার রায়হান সামস অন্তরা, ব্রাক অন্বেষার প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী ও ব্র্যাক ইনভারসিটির লেকচারার আব্দুল্লাহ হিল কাফি, আমন্ত্রিত আলোচক হিসেবে ছিলেন সৈয়দপুরের বাংলাদেশ আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শওকত আলী।
এছাড়াও আলোচনা করেন ব্র্যাক দ্বিচারি প্রজেক্টের ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার মুনতাসির আহাদ। আর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন আমেরিকার মিশিকান ইউনিভার্সিটির রোবট রিসার্চ ফেলো ডঃ মোক্তাদির আলম আরাফাত।
অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য দেন সৈয়দপুর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু, কিছু করি সংগঠনের কারিগরি কমিটির সদস্য সাংবাদিক জসিম উদ্দীন, সৈয়দপুর মহিলা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক লোকমান হাকিম, সৈয়দপুর পৌরসভার কাউন্সিলর জোবাইদুর রহমান শাহীন প্রমূখ।
জানা যায়, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর ভিশনকে সামনে রেখে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এপ্রসঙ্গে ‘কিছু করি’ সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।
আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ উপভোগ করতে না পারলেও যেন এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বড় অবদান রাখতে পারে সে লক্ষে কনফারেন্সের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের কিছু করি সংগঠনের সাথে যুক্ত করব মাত্র। এরপর তাদের নিয়েই শুরু হবে আমাদের রোবটিক্স চর্চা। আমাদের লক্ষ্য হলো বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্প এবং সাংস্কৃতিক জ্ঞানের মাধ্যমে তাদেরকে আদর্শ নাগরিক তথা দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা।
তিনি আরও বলেন, আমরা ফরম পুরনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৮ শতাধিক শিক্ষার্থীকে বাছাই করেছি। আমাদের কনফারেন্সের পর প্রতি স্কুলে একটি করে ক্লাব থাকবে। যেখানে আমাদের টেকনিক্যাল টিম তাদের সাথে সরাসরি কাজ করবে এবং প্রতি চার মাস পর পর আমাদের জ্ঞান ভিত্তিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দেশ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। সেইসাথে বিশ্বের সকল ক্ষেত্রেও দেশকে এগিয়ে নিবে।
রংপুর বিভাগের মধ্যে এই প্রথম এমন অগ্রসর প্রযুক্তি বিষয়ে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হলো সৈয়দপুরের এই কর্মশালার মাধ্যমে। তিনদিনের এই আয়োজন আগামী রবিবার শেষ হবে।