রাণীশংকৈলে বেড়েছে চুরি, মসজিদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রেহাই পাচ্ছে না
নাজমুল হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় গণহারে বেড়েছে চুরি মসজিদের ব্যাটারি, দান বাক্স, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও রেহাই পাচ্ছেনা চোরের হাত থেকে। এদিকে পুলিশ প্রশাসন বলছে আরেকটি পুলিশ পিকআপ পেলে চুরি রোধ করা সম্ভব হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা জুড়ে ব্যাপকহারে চুরি বেড়েছে গত ৩১ জুলাই রাতে ফরিঙ্গাদিঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭টি সেলিং ফ্যান ওয়েট মেশিনসহ ৩৫/৪০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়।
২৯ জুলাই রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমি প্রতিষ্ঠানে পানির পাম্প ৩টি বৈদ্যুতিক তারের কয়েল তালা ভেঙ্গে চুরি হয়। ২০ জুলাই ভান্ডারা মসজিদে ১টি ব্যাটারি চুরি হয়। সম্প্রতি পদমপুর এলাকার রায়েস আলী’র মোবাইল,বাইসাইকেল ও নগদ টাকা, কেউটানের সোহেল রানার ২টি গরু,বলিদ্বারার হুমায়ুন কবিরের গোডাউনের নগদ ৮৫ হাজার টাকা, সুমনের বিভিন্ন মালামাল সহ ৩০ হাজার টাকা, নেকমরদ যদুয়ারে হাবিবুর রহমানের ১টি গরু, আবু সাইদ ইউসুফ আলী’র স্বর্ণলংকার সহ ৫ লক্ষ টাকা, পারকুন্ডার সুজন রায়ের ১টি গরু, আনারুলের ২টি গরু, কুমোরগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকের মোটর, টিউবওয়েল, চোপড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোটর, ভরনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ চুরি হয়েছে।
তাছাড়া আমজুয়ান মসজিদের ব্যাটারি, আমজুয়ান সামসিয়া মসজিদের ব্যাটারি, ফুলবাড়ি মসজিদের ব্যাটারি, খঞ্জনা মসজিদের ব্যাটারি, বিলপাড়া ও বলিদ্বারা মসজিদের দান বক্স পৌরশহরের পিপুলতলা মন্দিরে ব্যাটারিসহ পৌরসভায় ৫২টি মসজিদের মধ্যে ২০টি মসজিদে সোলার ব্যাটারি চুরি হয়েছে। ধর্মীয় উপাসানালয় মসজিদ ও মন্দিরে চুরির ঘটনায় স্থানীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এপ্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাহিমউদ্দিন মুঠোফোনে বলেন,সরকারি সম্পদ চুরি হলে প্রথমত জিডি করতে হবে কিন্তু থানা কতৃপক্ষ জিডি নিচ্ছেনা।
তারা বলছেন অবহিত করণ দরখাস্ত করতে। তাছাড়া চুরির বিষয়ে আইনশৃংখলা কমিটির সভায় বার বার অভিযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছেনা, বরং চুরি বেড়েই চলছে। থানা অফিসার ইনচার্জ গুলফামুল ইসলাম মন্ডল বলেন, চুরির বিষয়গুলি আমারা অবগত হয়েছি। ১ আগষ্ঠ মঙ্গলবার নবাগত পুলিশ সুপার মহোদয়কে চুরির বিষয়গুলি জানানো হয়েছে এবং থানায় ১টি পুলিশ পিকআপ থাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা যাচ্ছে না।আরেক টি পিকআপ ভ্যান পেলে চুরি রোধ করা সম্ভব হবে।