কুড়িগ্রামে কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে ঘড়িয়ালডাঙ্গা রাজমন্দিরটি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে ঘড়িয়ালডাঙ্গা রাজমন্দিরটি। রাজমন্দিরটি রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ গ্রামে অবস্হিত। স্হানিয়দের কাছ থেকে জানা যায়, প্রায় ২০০ বছর আগে তৎকালীন জমিদার শরৎচন্দ্র চৌধুরী তার প্রসাদের সন্নিকটেই ইট ও সুরকি দ্বারা এটি নির্মাণ করেন।
এক সময় বছর জুড়ে দুর্গোৎসব,লক্ষ্মী,বাসন্তি,গণেশ,কার্তিক,রথযাত্রাসহ বিভিন্ন ধরনের পূজা-অর্চনা এবং ধরামীয় উৎসবে মুখরিত থাকতো মন্দিরটি। জমিদার প্রথা বিলুপ্তির পরও অনেক দিন চলছিল পূজা-অর্চনা। কিন্তু স্বাধীনতার আগে জমিদারের উত্তরসূরিরা স্ব-পরিবারে ভারতে পাড়ি জমান। এতে করে বন্ধ হয়ে যায় মন্দিরের সব ধর্মীয় কর্মযজ্ঞ। ১শত ফুট গোলাকার ও ৫০ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট নিখুত গাথুনী দ্বারা তৈরি মন্দিরটির নির্মাণ শৈলীতে রয়েছে রাজ ঐতিহ্যের স্মৃকিচিহ্ন, যা দর্শনার্থীদের ব্যাপক মন কাড়ে। ৮দরজা বিশিষ্ট মন্দিরের ভেতর ও বাহিরে অপরুপ কারুকার্যে গড়া পুরো অবকাঠামোটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
স্হানিয় বাসিন্দা কল্পনা রানী(৫৭) জানান,  সময় আর প্রকৃতির দৈন্যতায় রাজমন্দিরটির আজ বেহাল দশা। সরকার যদি মন্দিরটি সংস্কার করতো তাহলে এখানে হিন্দু সম্প্রাদায়ের লোকজন যারা আছি সবাই পূজা- অর্চনা করতে পারতাম। ঘড়িয়ালডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নবীনচন্দ্র সরকার বলেন, জমিদার শরৎচন্দ্র চৌধুরীর ৬২টি তালুক ছিল। অনেকেই ৬২জমিদার বলে চিনত। সরকারের কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি রাজমন্দিরটি সংস্করণ করে শরৎচন্দ্র জমিদারের  ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে যেন তুলে ধরা হয়। কেননা  এটা বাংলাদেশ সরকারের একটি রাষ্ঠীয় সম্পদ।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * কুড়িগ্রামে কালের সাক্ষী * ঘড়িয়ালডাঙ্গা রাজমন্দির
লাইভ রেডিও
সর্বশেষ সংবাদ