ফরিদপুর-১ আসনে বাবার স্বপ্ন পূরন করতে ব্যস্ত পদত্যাগি সংসদের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন
বিধান মন্ডল, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর-১ আসনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ আল মামুন নির্বাচনী এলাকায় প্রচারাভিযানে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক পদত্যাগী এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে। আব্দুল্লাহ আল মামুন কেন্দ্রীয় আ’লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য ছিলেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের এক ঝাঁক মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে নেমেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তরুণ প্রজন্মের অহংকার, উদীয়মান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সফল রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রচারাভিযানে ব্যস্ত সময় পার করছেন এক আসনে ।
তিনি ফরিদপুর-১ আসনে নির্বাচনী এলাকা বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা-মধুখালিতে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে নিজের জন্য দোয়া এবং আওয়ামী লীগের জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন। সেই সাথে প্রচার-প্রচারনার সময় তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরছেন।
নিজের প্রার্থীতা সম্পর্কে আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফরিদপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবো। দল যদি মনোনয়ন দেয় তবে নির্বাচন করবো। আর না পেলে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার নির্বাচন করবো।
তিনি আরো বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবিতে দলের প্রয়োজনে আমার বাবা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার দুই বছর পরেই সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার বাবার দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস রয়েছে। তিনি দলের জন্য একজন ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি ছিলেন। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে বাবা যে স্বপ্ন দেখতেন, পদত্যাগ করায় তার সেসব স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। আমি মনোনয়ন পেলে আমার বাবার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবো।’
আব্দুর রউফ মিয়া বোয়ালমারী উপজেলায় তার নিজ গ্রাম ময়না ইউনিয়নের খরসূতিতে ‘খরসুতী চন্দ্রকিশোর উচ্চ বিদ্যালয়’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজ’ নামে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্টা করেন। পরবর্তীতে কলেজটিকে জাতীয়করণ করা হয়। জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন ওই কলেজের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া আব্দুল্লাহ মামুন ‘খরসূতি চন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়’র পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এবং আব্দুর রউফ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা।
আব্দুল্লাহ আল মামুনের ছোট ভাই মো. খালিদ হাসান সুমন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার উপ পরিচালক, সেজো বোন আনজুমান আরা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব দুলাভাই রেজাউল হক টিটো তিতুমীর কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং ছোট বোন জামাই নুর-এলাহি-মিনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব-১ হিসেবে কর্মরত।
উল্লেখ্য, আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাবা আব্দুর রউফ মিয়া ১৯৯১ সালে আ’লীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে ২৪ হাজার ৫০৯ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হন। মাত্র দুই বছর পরেই ১৯৯৩ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রি শেখ হাসিনার নির্দেশে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফরিদপুর জেলা শাখার সহ সভাপতি ছিলেন, দীর্ঘ ২৬ বছর বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন, ২০ বছর জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ছিলেন।