রংপুর দুদকের গণশুনানি: সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ভুমি ও বিআরটিএ অফিসের বিরুদ্ধে
ক্রাইম রিপোর্টারঃ
রংপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজনে করা গণশুনানিতে সরকারি দপ্তরগুলোর মধ্যে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে ভুমি অফিস ও বিআরটিএ অফিসরে বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রংপুর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে সেবা গ্রহীতাদের নিয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ভুক্তভোগীরা দুদক সচিবের সামনে তাদের অভিজ্ঞতা ও সেবা নিয়ে দীর্ঘসূতার অভিযোগ করেন। অনুষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সব সেক্টরেই দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। আমাদের এনফোর্সমেন্ট টিম ২৪ ঘণ্টাই রেডি থাকে। যে কোনো তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাৎক্ষণিক তথ্য যাচাইয়ের চেষ্টা করি এবং দুর্নীতির শঙ্কা থাকলে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন। তিনি আরও বলেন, গুরুতর অভিযাগগুলো আমলে নিয়ে দুদকের আইন ও নিয়মানুয়ায়ী পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান করা হবে এবং কমিশনের সিদ্ধান্তক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্নীতির কোথাও কোনো সুযোগ নেই। যে ধর্মের হোন না কেন, কেউ কিন্তু দুর্নীতিকে সমর্থন করে না। কোনো অভিযোগের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দুদক আপনাদের সঙ্গেই আছে, থাকবে। দুদক ভালোর সঙ্গে থাকবে, খারাপের সঙ্গে থাকবে না। গত কয়েকদিন ধরে রংপুর নগরীতে মাইকিং ও প্রচারপত্র বিতরণ করে এলাকাবাসী কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সেগুলো সচিবের সামনে উপস্থাপন করা হয় এবং যেগুলো সম্ভব সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করা হয়। প্রাপ্ত ৭৭টি অভিযোগের মধ্যে ৪৫টি অভিযোগের দ্রæত প্রতিকার ও নিষ্পত্তি প্রদান করা হয়। এ সময় সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রতিনিধি অভিযোগের বিষয়ে জবাব ও সমাধানের আশ্বাস দেন। বাকি অভিযোগগুলো প্রাথমিক যাচাই বাছাই শেষে দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক ড. চিত্র লেখা নাজনীনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার রংপুরমোঃ হাবিবুর রহমান, রেঞ্জ ডিআইজি মোহাঃ আব্দুল আলীম মাহমুদ বিপিএম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার , নুরে আলম মিনা বিপিএম (বার) দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মোঃ আক্তার হোসেন, রংপুরের পুলিশ সুপার মোঃ ফেরদৌস আলী চৌধুরী, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সুশান্ত চন্দ্র খান। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, সেবাপ্রত্যাশী নাগরিক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।