ইকবাল হোসেন সবুজঃ নৌকা বিরোধী অপপ্রচার ব্যর্থ,ঝুট ব্যবসায়ি মিশন ফ্লপ

সদরুল আইনঃ
         একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৬৬৭ টি উঠান বৈঠকের উত্তাল জনসমুদ্র থেকে উঠে আসা বিস্ময়কর জনপ্রিয় নাম ইকবাল হোসেন সবুজ।
ফাঁসীর সাজানো মঞ্চ যাকে আটকিয়ে রাখতে পারেনি, সহস্র চক্রান্তের সাহারা যিনি মাড়িয়ে এসেছেন লাখ লাখ মানুষের ভালবাসার পুষ্প-বৃষ্টিতে ভিজে  তিনি একজনই ইকবাল হোসেন সবুজ।
গত উপজেলা নির্বাচনে এই বরেণ্য রাজনৈতিককে মিথ্যা দোষারোপ করেছিল দীর্ঘ দিন ধরে একটি মহল এই বলে যে, তিনি নৌকা বিরোধী।তার কারনে নৌকার প্রার্থি শ্রীপুরে ফেল করেছে।
কিন্তু সমালোচকরা এ কথা কখনো বলেননি যে নৌকার প্রার্থি যিনি ছিলেন তিনি কি কারনে তার নিজের বাড়ির কেন্দ্রে ফেল করেছিলেন।দীর্ঘদিন একশ্রেনীর মানুষ এমপি সবুজ নৌকা বিরোধী সেই প্রচারে ছিল।
কিন্তু ১৯ শে মে জনাকীর্ণ জেলা সম্মেলণে তিনি কেন্দ্রিয় সিদ্ধান্তে দ্বিতীয়বারের মত জেলার সাধারন সম্পাদকের পদে অধিষ্ঠিত হলে তিনি নৌকা বিরোধী এই প্রচার হালে পানি না পেয়ে বন্ধ হয়ে যায়।
অতি সম্প্রতি গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থি বরেণ্য অনলবর্ষী রাজনৈতিক আজমত উল্লা খান ১৬ হাজারের কিছু বেশি ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থি জায়েদা খাতুনের কাছে পরাজিত হন।
এমপি হিসাবে আইনী বাধ্যবাধকতা থাকায় তিনি নির্বাচনের মাঠে স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেননি।তবে জেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়বদ্ধতা থেকে দেড় শতাধিক কমিটি গঠন করে সব উপজেলার সক্রিয় কর্মিদেরকে সব সময় নৌকার প্রার্থির প্রচারনায় সরোব রেখেছিলেন।
ব্যক্তিগত জায়গা থেকে তিনি নৌকার প্রার্থি আজমত উল্লা খানের সাথে দেখা করেন এবং করনীয় বিষয়ে আলাপ আলোচনা করেন এবং নেতার দিকনির্দেশনা গ্রহন করেন।এখন পর্যন্ত উক্ত প্রার্থি ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি’র ভূমিকা নিয়ে কোন অভিযোগ বা প্রশ্ন তোলেননি কোথাও।
সম্ভবত এতেই গাত্রদাহ হয় একটি গোষ্ঠির।তারা এমপি সবুজের গায়ে কাদা ছিটাতে না পেরে অর্ন্তদহনে পুড়তে থাকে।কৌশল পরিবর্তন করে এই মহলটি পর্দার আড়ালে থেকে একটি বেসরকারি টিভির আশ্রয় নেয়।
সেই অনুষ্ঠান থেকে প্রশ্ন করা হয় আপনার ভাই সাখাওয়াত যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান জুয়েলের চায়না ফ্যাক্টরির ঝুট ব্যবসা নিজের নামে করে নিয়েছেন কেন।
প্রতি উত্তরে গাজীপুর-৩ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন সবুজ বলেন, কেউ যদি প্রমান করতে পারে আমার ভাইয়ের নামে কোন ফ্যাক্টরির ঝুট ব্যবসা আছে তবে আমি পদত্যাগ করব এবং রাজনীতি ছেড়ে দেব।
উক্ত চ্যানেল, প্রশ্নকর্তা এমনকি এসবের নেপথ্য নায়করা এমপি ইকবাল হোসেন সবুজ এর এই চ্যালেঞ্জ প্রমান করতে ব্যর্থ হওয়ায় এমপি সবুজ নৌকা বিরোধী অপপ্রচারের মত কুশীলবদের এবারের ঝুট ব্যবসায়ি বানানোর মিশনও ফ্লপ করেছে বলে মনে করছেন এই আসনের লাখ লাখ মানুষ।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * কবাল হোসেন সবুজঃ * ঝুট ব্যবসায়ি মিশন ফ্লপ * নৌকা বিরোধী অপপ্রচার ব্যর্থ