পুলিশি মিথ্যা মামলা অতঃপর জেল হাজত, মুক্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
মিজানুর রহমানঃ
রাজধানীর উত্তরা তুরাগ থানাধীন এলাকায় রাতের আঁধারে নিজ বাসায় পুলিশের হয়রানীর শিকার হয়েছে ধউর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মো: আলাউদ্দিন আলাল।হঠাৎ মধ্যরাতে তুরাগ থানার এস আই অনুজ কুমার সরকার সহ বেশ কিছু লোক আলাউদ্দিন এর বাসায়।হঠাৎ পুলিশ বাসায় কেনো জানতে চাইলে এস আই বলেন ওসি সাহেবের সাথে দেখা করতে হবে তাই নিতে এসেছি।আলাউদ্দিন আলাল সহ তার পরিবারের লোক জন আগামীকাল থানায় গিয়ে দেখা করার প্রস্তাব দিলে,পুলিশ তাদের উপর চড়া হয়ে অকথ্য ভাষা গালিগালাজ শুরু করেন।পরবর্তীতে দেখা যায়,এস আই অনুজ কুমার সরকারের নেতৃত্বে আলাউদ্দিন আলাল এর পরিচিত আব্দুর রব সহ অন্যান্য পুলিশ সাথে আছে।এসআই অনুজ কুমার সরকার আলাউদ্দিন আলাল কে বলে থানায় চলেন ওসি সাহেব আপনাকে ডাকছেন।তখন আলাউদ্দিন আলালের ছেলে ওমর ফারুক হিমেল বলে আমার বাবার নামে কি কোন মামলা হয়েছে বা কোন অরেন্ট আছে যে আমার বাবাকে থানায় নিয়ে যাবেন।
এই কথা বলার পরে এসআই অনুজ কুমার সরকার ও আব্দুর রব মিলে ওমর ফারুক হিমেল কে মারধর করে।তার ফ্যামিলি এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে তাদের ফ্যামিলি রক্ষার জন্য একটি রুমে আশ্রয় নেয় হিমেল।এই খবর শুনে এলাকাবাসী আসলে তাদের সামনে আলাউদ্দিন আলাল কে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে এসআই অনুজ কুমার সরকারের নেতৃত্বে আব্দুর রব বাদী হয়ে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন,মামলার নং ২৩ মামলায় ১ নং আসামি আলাউদ্দিন আলাল ও ২ নং আসামি ওমর ফারুক হিমেল,মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে আলাউদ্দিন আলাল,আব্দুর রব কে মারধর করেছে এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে এবং ভয় ভীতি দেখানো হয়েছে।গত ১৮ ই মে ২০২৩ বৃহস্পতিবার আলাউদ্দিন আলাল মাত্র হাসপাতাল থেকে বাসায় আসেন এবং তার কোমরে ১২ টির মত রড লাগানো আছে তিনি খুব অসুস্থ এই লোক কিভাবে মারধর করে এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
মামলার ০২ নং আসামি ওমর ফারুক হিমেলের কাছে জানতে চাওয়া হয়,এই মামলার দুই নং আসামি আপনি এর পর পুলিশ আপনাকে নেওয়ার জন্য কি এসে ছিলো।হিমেল বলেন,তার কোন খোজ খবর পুলিশ নেয়নি।আমার বাবাকে নেওয়ার পরে পুলিশ এই পর্যন্ত আমার খবর এবং আমার বাসায় আসেনি।তিনি যেহেতু মামলার ২ নাম্বার আসামি তাহলে পুলিশ কেন তাকে গ্রেফতার করছেনা,এতে করে বোঝা গেল সবকিছুই সাজানো নাটক। মামলাটা যে সাজানো এবং তড়িঘড়ি করে মামলা লেখা হয়েছে তার একটি প্রমাণ শুধু উল্লেখ করা হলো,মামলায় অংকে লিখা আছে বিশ হাজার,আবার কথায় লিখা আছে বিশ লক্ষ। উল্লেখ করা হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবি করেছ অথচ মামলার কপিতে লেখা আছে ২০ হাজার টাকা কোথায় ২০ লক্ষ আর কোথায় ২০ হাজার আসলে তাড়াহুড়া করে লিখতে কিছুটা ভুল হবেই।রাতের আঁধারে পুলিশ একজন লোককে থানায় নিয়ে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠাবে এটা কোন আইনে আছে বিষয়টি দুঃখজনক। আসামি আলাউদ্দিন আলালের বিষয় থানা কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ বলেন আলাউদ্দিন আলালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো।
মামলার কপিতে জমি সংক্রান্ত বিষয় কিছু কথা উল্লেখ করা হয়েছে যেসব কথার কোন যুক্তি নেই,কারণ মহামান্য আদালত রায় দিয়েছে এবং যে রায় সাইন বোর্ডে লেখা আছে। বর্তমানে যে জমির মালিক আলাউদ্দিন আলাল গং তার প্রমাণ জমির খাজনা বর্তমানে আলাউদ্দিন আলাল গং দিয়ে যাচ্ছে।মামলার বাদী আব্দুর রব মহামান্য আদালতকে অপমান করে তার যুক্তি নামা উল্লেখ করেছেন যার কোন ভিত্তি নেই। তার প্রমাণ শুধু জমির উপর সাইন বোর্ডে স্পষ্ট লেখা আছে।এ বিষয়ে এলাকা বাসীর সাথে কথা বললে তারা জানিয়েছেন, আলাউদ্দিন আলাল একজন ভালো মানুষ তার জমি দখল করার জন্য একটি কুচক্র মহল পাঁয়তারা চালাচ্ছে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি আলাউদ্দিন আলাল কে মুক্তি দিয়ে মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।এলাকাবাসী আরো জানিয়েছে যে একটি কুচক্র মহল তুরাগ থানা এলাকায় কিছু খালি জমি আছে এগুলো দখল করার জন্য মধ্যে মধ্যে মানুষের নামে আজগুবি মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।এই কুচক্র মহল থেকে এলাকাবাসী রক্ষা পাওয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছে।