যে কাজটি কখনোই করেনি শ্রীপুরের রাজনৈতিক অঙ্গণ

সদরুল আইনঃ
 সফল ছাত্র রাজনীতির পথ ধরে তৃণমূল থেকে উঠে এসে উপজেলা চেয়ারম্যান,তারপর ফাঁসীর মঞ্চ পেরিয়ে উত্তাল উঠান বৈঠকের জনসমুদ্র পার হয়ে পবিত্র সংসদে আলোকিত করা নাম ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি।
জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, পরে সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে সফলতার চিহ্ন রেখে শেখ হাসিনার উন্নয়নচিত্রে যুগান্তকারি সাফল্যের পুরষ্কার ১৯ মে ‘২২ ইং দ্বিতীয়বারের মত সাধারন সম্পাদকের পদটি সফলতার সাথে ধরে রাখার অনন্য কীর্তি যোগ হয়েছে গাজীপুর -৩ আসনের জননন্দিত এমপি ইকবাল হোসেন সবুজ’র রাজনৈতিক পালকে।
দৃড় আত্মপ্রত্যয়,সততা, দেশ জাতি, এলাকাবাসি সর্বোপরি রাজনৈতিক আদর্শ ও শেখ হাসিনার প্রতি অবিচল আস্থার অনন্য প্রতিক ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি।
তিনি কথা দেন না,ওয়াদা করেন না কিন্তু তার বুকের গহীনে লালন করা স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটিয়ে হাসিমুখে মানুষের জনারণ্যে এসে দাঁড়ানোই তার ব্যতিক্রমি চরিত্র ও বৈশিষ্ট।এ কারনেই তিনি পুষ্পিত হৃদয়।চারণ বা পথ কবি।
গ্রামের একজন সাধারন কৃষক পিতার ঘরে জন্ম নিয়েও তিল তিল করে সততা আর আদর্শের নির্যাস ধারন করে তিনি হয়েছেন ঈর্ষনীয় জনপ্রিয়তা ও সাফল্যের গোলাপ এবং নিজেকে নিয়ে গেছেন পবিত্র সংসদের ফুলেল বেদীতে।
নিজ যোগ্যতায়, তৃণমূল থেকে উঠে আসা ছাত্র রাজনীনীতির পথ ধরে হয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক,দুবারের সাধারন সম্পাদক।
চারণের বেশে উঠান বৈঠকের রুপকার হয়ে পথ কবি ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি পরিনত হয়েছেন লক্ষ জনতার পুষ্পিত হৃদয়ে।পরিনত হয়েছেন লক্ষ জনতার আস্থার ঠিকানায়।
২০০৯ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর তাঁকে বৈরাগীরচালা বাজার থেকে উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত লাল গালিচা বিছিয়ে, পুষ্প বৃষ্টিতে সাদরে আনুষ্ঠানিক সম্বোর্ধনা দিয়েছিলেন আলহাজ্ব এ কে এম সাখাওয়াত হোসেন খান।
পরবর্তিতে একাদশ সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমবার রেকর্ড ভোটে বিজয়ী হলেও শ্রীপুরের রাজনৈতিক অঙ্গণ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক সম্বোর্ধনা দেওয়া হয়নি তাঁকে।
ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় থেকে তার বাসভবনে যেয়ে লাখ লাখ মানুষ অভিনন্দন জানালেও শ্রীপুরের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্বোর্ধিত করা হয়নি আজ পর্যন্ত।
গত ১৯ শে মে ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য জনাকীর্ণ সম্মেলণের মাধ্যমে জেলার সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিদিন প্রতি রাতে হাজার হাজার মানুষ তাকে ফুলের পাপড়িতে সিক্ত করছেন।
 কিন্তু যার সফরতার হাত ধরে গাজীপুর তথা শ্রীপুরের রাজনৈতিক আকাশে আজ উন্নয়ন ও সহাবস্থানের নতুন সূর্য উদিত হয়েছে, যাকে নিয়ে আজ গর্ব করতে পারে শ্রীপুর, প্রায় ৫ বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও সেই মানুষটির কোন সাফল্যেই শ্রীপুরের রাজনৈতিক অঙ্গণ তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্বোর্ধিত করেনি। যা দুঃখজনক ও বিস্ময়কর।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন