ধর্ষণ মামলায় দালালের খপ্পরে বাদী, নির্দোষীকে জড়ানো হচ্ছে মিথ্যা অভিযোগে
মো. শরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সিংহটিয়া খালেরপাড় গ্রামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে অপহরণের পর পিটিয়ে দুই হাত ভেঙে যৌন নিগ্রহে বাধ্য করায়।
শারমীন আক্তার বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। ওই মামলাকে উদ্দেশ্য করে কে বা কাহারা বাদীকে ভয় ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছেন। এদিকে বিভিন্ন মামলার দালাল বলিখন্ড গ্রামের পিতা মৃত. মজিবরের ছেলে কাদের। ধর্ষণ মামলার বাদী শারমীনকে উস্কানি দিয়ে বলিখন্ড গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে নির্দোষী ফুলচান (৩২) এর নামে কালিহাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করান । কিন্তু শারমীন বলেন ফুল চান নামে কাউকে চিনে না। এনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘটনার তিন মাস পর এসে নতুন করে জিডিতে জড়ানো হচ্ছে নির্দোষী মানুষ কে।
জানা গেছে, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সিংহটিয়া খালেরপাড় গ্রামে এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়। এঘটনার পর ওই কিশোরীর বোন শারমীন আক্তার বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো দুইব্যক্তির নামে কালিহাতী থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ এজারহারভূক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
সাম্প্রতিক একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন শারমীন বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে। উপজেলার সিংহটিয়া খালেরপাড় গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে রাব্বি (২৮), মৃত. ইমান আলীর ছেলে আলতাফ হোসেন (৬০), বলিখন্ড গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে ফুলচান (৩২)।
ধর্ষণ মামলার বাদী শারমীন এবিষয়ে জানান, গত ১০মে মামলার বিষয়টা মীমাংসা করার জন্যে পাইকড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন এর বাড়িতে সালিশে বসা হলে সেখানে জড়িবোটে সাড়ে ৬ লাখ টাকা ধার্য করা হয়। শেষ পর্যায় দোষী আল আমিন এর পরিবারের পক্ষ থেকে সালিশ না মেনে চলে আসেন। শারমীন আরও জানান, চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন আমার মোবাইল ফোনে জানান আপনাদের কাছে কাদের নামের একজন লোক যাবে সে যা বলে সেই মোতাবেক কাজ করেন। পরে কাদের বাড়িতে এসে আমাদের কে থানায় নিয়ে একটি সাধারণ ডায়রী করিয়ে দেয় আমি এই গুলো করতে চাইনি ওরা আমাকে দিয়ে করাইছে। হুমকির বিষয় শারমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন আমাকে ফোনে বিবাদীদের পক্ষ থেকে মানুষ দিয়ে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে।
এবিষয়ে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে আলোচনায় উঠেছে ফুলচান ঘটনার সাথে জড়িত নয়
অভিযুক্ত ফুলচান জানান, ধর্ষন মামলার বাদী এবং বিবাদী কাউকে চিনিনা। এবিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এবিষয়ে দালাল কাদেরের কাছে জানতে চাইলে সাংবাদিকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং বাহিরে কোথাও পেলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
পাইকড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন এবিষয়ে বলেন, গত ১০মে সালিশে মিমাংস করার জন্যে বসে ছিলাম কিন্তু শেষ পর্যায় বিবাদী পক্ষের লোকজন সালিশ মানতে নারাজ। তিনি আরো জানান বাদী পক্ষের সহযোগিতার লোক না থাকায় কাদেরকে সহযোগিতা করতে বলেছি, তার জন্যে কাদের যাইতে পারে।
কালিহাতী থানার অফিচার্জ ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, গণধর্ষণের শিকার কিশোরীর বড়বোন একটি জিডি (নং-৫৯৬, তাং ১৩/০৫/২০২৩ইং) করেছেন। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।