দুটি হত্যাকান্ডে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ
মোঃ হামিদুর রহমান লিমন, ক্রাইম রিপোর্টারঃ
আঠারো দিনের ব্যবধানে রংপুর সদর কোতয়ালী থানা এলাকায় দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনা নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। কোন কারণে ওই দুটি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। মাষ্টার মাইন্ড আসামী কে? কারা কারা? কতজন জড়িত? হত্যাকান্ড দুটির নেপথ্য কারণ কী? ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তর কথা এখন চায়ের টেবিলে জনগণের মুখে মুখে। এদিকে, কোতয়ালী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দুটি হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য তাদের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত ১৬ মে সদর উপজেলার পাগলাপীর এলাকার মডেল মসজিদের পাশের আখ ক্ষেত থেকে বালক শাহিনুরের (১২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পাগলাপীর নুরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার নাজরা বিভাগের ছাত্র ছিল সে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মাদরাসাটির মোহতামিম হাফেজ সাইফুল ইসলাম জিহাদী, ক্কারী আবু সাঈদ ও শ্রেনি শিক্ষক নিয়ামুলকে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমা›ন্ড আবেদন করবে পুলিশ। অন্যদিকে, গত ২৮ এপ্রিল সদর উপজেলার লাহিড়ীর হাটের কাছে একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় মমদেল মিয়া (৫৫) নামের এক কবিরাজের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মমদেলের সহযোগী আতোয়ার রহমান নামের একজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। কোতয়ালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার জানিয়েছেন, দুটি হত্যাকান্ডের দুটি মামলা হয়েছে। হত্যার মোটিভ কিংবা ক্লু বের করার জন্য পুলিশ দিনরাত কাজ করছে। এজন্য গ্রেফতার করা ব্যক্তিদের রিমান্ড আবেদন করা হবে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই দুটি হত্যা কান্ডের ক্লু বের হয়ে আসবে।