গৌরীপুরে প্রকৃতি সেজেছে লাল কৃষ্ণচূড়ায়

মো. হুমায়ুন কবির,গৌরীপুর
গ্রীষ্মের শুরুতেই প্রকৃতি তার আপন মহিমায় সেজে উঠেছে। চৈতালি হাওয়ার ঝাপটায় পাতা ঝরে যাওয়া কৃষ্ণচূড়ার শাখা গ্রীষ্মের শুরুতেই অজস্র রঙিন ফুলে ফুলে ভরে ওঠেছে। প্রখর রৌদ্রদীপ্তে এই বিপুল বর্ণবৈভব চোখে প্রায় ঘোর লাগিয়ে দেয়। দিনেদিনে গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলের চারপাশ দিয়ে উদগত সবুজ পাতারা ফুলগুলোকে যেন সযতনে রচিত স্তবকে পরিণত করে তুলেছে। চলতি পথে আপনা থেকেই পথিকের দৃষ্টি চলে যায় সেদিকে। অনাবিল আনন্দের অনুভূতি মনকে প্রশান্ত করে।
গ্রামের মেঠোপথ, সবুজ প্রান্তর, কালো দিঘির জল ছাপিয়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরকে রাঙিয়ে তুলেছে কৃষ্ণচূড়ার লাল রং। পৌর শহরের উত্তর বাজার নূরুল আমিন খান সড়ক, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, বড় মসজিদ, পুরাতন সোনালী ব্যাংকের কৃষ্ণচূড়া চত্বর, গৌরীপুর থানা কম্পাউন্ড, গৌরীপুর সরকারি কলেজ, খেলার মাঠ, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন মৎস্য খামার, রাজেন্দ্র কিশোর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, গৌরীপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজসংলগ্ন আবাসিক ভবনে, মধ্যবাজার, কলতাপাড়া বাজার, ডেল্টা
মিল এলাকা, নাপ্তের আলগী বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় গাছে গাছে কৃষ্ণচূড়ার লাল, হালকা লাল, হলদে আভা ছড়িয়ে প্রকৃতিকে করেছে নয়নাভিরাম, যা শহরের নাগরিকদের হৃদয়- মন কেড়ে নিয়েছে । প্রতিদিনই সকাল-বিকেলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, যুবক-যুবতি এর সৌন্দর্য উপভোগে মেতে উঠে।
কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া। এটি ফাবেসি পরিবারের অন্তর্গত। পাকিস্তান, ভারতে এই ফুলকে গুলমোহর নামেও ডাকা হয়। এর আদি নিবাস আফ্রিকার মাদাগাস্কার। ১৮২৪ সালে সেখান থেকে প্রথম মুরিটাস, পরে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিস্তার ঘটে। এখন জন্মে আমেরিকা, ক্যারাবিয়ান অঞ্চল, হংকং, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন, ভারতসহ বিশ্বের বহু দেশে। ধারণা করা হয়, কৃষ্ণচূড়া ভারত উপমহাদেশে এসেছে তিন থেকে চার শ বছর আগে। তবে ফুলের নাম কী করে কৃষ্ণচূড়া হলো সে সম্পর্কে ধূম্রজাল রয়েছে। গৌরীপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. লুৎফুর রহমান প্রতিদিনের কাগজকে জানান, কৃষ্ণচূড়া শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ, পাখিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে, জলবায়ু পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ও মাটি ক্ষয়রোধ করে থাকে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * গৌরীপুর * প্রকৃতি সেজেছে লাল কৃষ্ণচূড়ায়
সর্বশেষ সংবাদ