প্রকাশিত সংবাদের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন মতিয়ার রহমান

আঃ রাজ্জাক, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার নিশ্চিন্তা গ্রামের মৃত- মোয়াজ্জেম হোসেন এর ছেলে মতিয়ার রহমান৷
শনিবার (২০ মে) বেলা ১২ টায় ক্ষেতলাল প্রেসক্লাব এর অস্থায়ী কার্যলয়ে উপজেলা প্রেসক্লাব ও প্রেসক্লাব ক্ষেতলাল দুটি সংগঠনের সাংবাদিকদের সাথে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন মতিয়ার রহমান। তিনি তাঁর লিখিত অভিযোগ পাঠকরে বলেন, পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের কারনেই হয়রানী ও সম্মান হানির উদ্দেশ্য নিলুফা ইয়াসমিন নামের এক জৈনক ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলন করেন। গত ১৪ মে দৈনিক ভোরের দর্পণ, করতোয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে ক্ষেতলালে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। নিজ জমিতে স্থাপনা ও সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিয়োগের প্রকাশিত সংবাদটি ভিত্তিহীন ও সঠিক নয়। আমি আদালতের আদেশ অমান্য করিয়া স্থাপনা নির্মাণ কাজ করিনি।  আদালদের আদেশ হাতে পাওয়ার আগেই নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলাম। পরে আদালতের আদেশ পেলে আদালতকে সন্মান জানিয়ে কাজ স্থগিত রাখি।
প্রকাশিত ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মতিয়ার রহমান তাঁর প্রতিবাদলিপিতে বলেন, ক্ষেতলাল উপজেলার নিশ্চিন্তা মৌজার সিএস ২৫ নং খতিয়ানে সাবেক ২৬২ দাগে মোট ৯৯ শতক সম্পত্তি সিএস এর মন্তব্য কলামে দখল অনুযায়ী আমির আলী একক মালিক বটে।
আমির আলী এক পুত্র ও দুই কন্যা রেখে মারা গেলে মুসলিম ফরায়েজ মোতাবেক পুত্র ওসমান আলী ৪৯.৫০ শতক সম্পত্তির মালিক এবং কন্যা করিমন ২৪.৭৫, কছিমন ২৪.৭৫ শতক সম্পত্তির মালিক। কছিমন তাঁর ২৪.৭৫ শতক সম্পত্তিতে স্বত্ববান ও দখলীকার থাকা অবস্থায় কছিমনের নামে ইজমাইলিতে ২২ নং এমআরআর খতিয়ান প্রস্তুুত হয়ে চূড়ান্ত রূপে প্রকাশিত হয়।
পুত্র ওসমান আলী ৪৯.৫০ শতক সম্পত্তিতে স্বত্ববান ও দখলিকার থাকা অবস্থায় বিগত ২৪/০৫/১৯৪৯ইং তারিখে ১৯৮৩নং রেজিস্ট্রিকৃত কোবলা দলিল মূলে ছামছুর রহমান ও আজিমদ্দিন বরাবর ৩৩ শতক সম্পত্তি একই দলিলে হস্তান্তর করিয়া দখল ছাড়িয়া দেয়। সেই মোতাবেক ছামছুর রহমান ১৬.৫০ শতক সম্পত্তিতে স্বত্ববান ও দখলিকার থাকা অবস্থায় ছামছুর রহমানের নামে ইজমালিতে ২২নং এমআরএম খতিয়ান প্রস্তুুত হয়ে চূড়ান্ত রূপে প্রকাশিত হয়।
কন্যা কছিমন ২৪.৭৫ শতক সম্পত্তিতে স্বত্ববান ও দখলিকার থাকা অবস্থায় মৃত্যু বরণ করিলে দুই পুত্র ও দুই কন্যা বিদ্যমান থাকে। মুসলিম ফরায়েজ মোতাবেক
পুত্র ছামছুর রহমান ৮.২৫, হাফিজার রহমান ৮.২৫ এবং কন্যা রওশনারা ৪.১২, মরিয়ম ৪.১২ শতক সম্পত্তি প্রাপ্ত হয়ে স্বত্ববান ও দখলিকার থাকেন। মৃত- কছিমনের পুত্র ছামছুর রহমান ফারায়েজ মোতাবেক বিগত ২৪/০৫/১৯৪৯ সালে ১৯৮৩ নং রেজিষ্ট্রিকৃত কবলা দলিল মূলে ১৬.৫০ শতক সম্পত্তির মালিক এবং মাতা কছিমনের ওয়ারিস সূত্রে ৮.২৫ শতকের একুনে মোট ২৪.৭৫ শতক সম্পত্তির মালিক হইয়া দখলীয় থাকা অবস্থায় নিশ্চিন্তা বাজার  সি এন্ড বি রাস্থার জন্য ২২ জি ৬৮ কেস মূলে টাকা উত্তোলন করে ১৬.৫০ শতক সম্পত্তি হস্থান্তর করে। পরে ৮.২৫ শতক সম্পত্তি দখলীয় থাকা অবস্থায় কছিমনের দুই ছেলে ছামছুর রহমান ও হাফিজার রহমানের নামে ১৩১৩ নং হাল দাগে ৬শতক সম্পত্তি ২২ আরএস খতিয়ান ছামছুর রহমান ও হাফিজারের নামে ইজমাইলিতে রেকট হয়। ছামছুর রহমান পরবর্তীতে হাফিজার রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষেতলাল সহকারী জজ আদালতে ২৭/১১আন্য  মামলা আনয়ন করিয়া উক্ত মোকদ্দমা সোলে সূত্রে ছামছুর রহমান একক ভাবে ৬ শতক শম্পত্তি রায়ও ডিগ্রী প্রাপ্ত হয়৷ পরবর্তীতে ছামছুর রহমান উক্ত ৬ শতক সম্পত্তি খারিজ করিয়া সরকার বরাবর খাজনাদী প্রদানে  দখলীয়কার থাকা অবস্থায় বিগত ২১/১০/২০১২তারিখে ৩৭১ রেজিষ্ট্রিকৃত কবলা দলিল মূলে উক্ত ৬ শতক সম্পত্তি আমার বরাবর হস্থান্তর করিয়া দখলছারিয়া দিয়েছেন। মতিয়ার রহমান উক্ত দলিল মূলে ও জয়পুরহাট জেলা সাব জজ আদালতে ২৬/২১ নং আপিল মামলা রায় মূলে প্রাপ্ত হইয়া ওই জমিতে দখলীকার আছেন। পরবর্তীতে আমার  নিজ নামে খারিজও করিয়াছি৷
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * প্রকাশিত সংবাদের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন * মতিয়ার রহমান