জীবন্ত এরশাদ, মৃত্যু এরশাদ এবং সাদ এরশাদ
মহিউদ্দিন মুখদুমীঃ
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আপনি কোন চোখে দেখতেন? মানে তাকে নিয়ে আপনার চিন্তার ধরণটি কি রকম ছিল? ভিন্ন ভিন্ন চোখে তাকে বিবেচনা করা যায়। যদি আপনি তাকে ওই সময়ের প্রক্ষাপটে বিশ্লেষণ চিন্তায় দেখে থাকেন তবে তিনি ছিলেন অনিবার্য একটি সফল উদাহরণ। যেমন ধরুন,স্বাভাবিক ভাবে শাসক হলে প্রচন্ড ক্ষমতা থাকে। যা ইচ্ছে করা যায়। এরশাদ স্যার তেমন ছিলেন না। যদি হতেন তবে লাখ লাখ স্থাপনায় নিজের নামে স্থাপনা করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। কারণ তিনি ছিলেন অন্যরকম উদার রাষ্ট্রপতি। আচ্ছা আপনি বলুন ! এরশাদ স্যারের নামে কোন স্থাপনার নাম দেখেছেন? খুঁজেও পাবেন না, কারণ তিনি এটি কখনোই চাননি এবং করেনওনি। একদিন পল্লী নিবাসে তাঁর পায়ের কাছে বসে বলেছিলাম, স্যার একটি কথা বলতে চাই? বলো-। বলেছিলাম, আপনার নামে কোন স্থাপনা নেই। ছাত্ররা কষ্টে আছে। রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে “রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ হল” নামে একটি হল নির্মান করা যায় কি না? আপনি একদিন থাকবেন না। আমি আপনার নামে নির্মাণ করা হলটির সামনে দাঁড়িয়ে নতুন প্রজন্মের হাত ধরে আঙ্গুল দেখিয়ে বলতে পারবো, এই হলটি আমাদের প্রিয় নেতা, প্রিয় মানুষের। তখন হয়তো চাপা কান্নায় ভিজে যাবে আমার চোখ। স্যার বললেন, অর্থায়ন কে করবে? বলেছিলাম, আমি করবো। কি ভাবে করবে? পরিকল্পনাটাও বলেছিলাম। তিনি হেসেছিলেন। প্রয়োজন নেই মখদুমী। অথচ যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের নামে কোনো হল নির্মাণ না করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জিয়াউর রহমানের নামে দুটি হল নির্মাণ করেছিলেন। এটিকে কি বলবেন? কিভাবে মূল্যায়ন করবেন? এ ছাড়া নয় বছরের শাসনে থেকে তিনি ইসলামকে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ধর্ম ঘোষণা, টিভিতে আজান প্রচারের নিয়ম চালু, শুক্রবার সরকারী ছুটির দিন ঘোষণা, মসজিদের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ, মহকুমাকে জেলায় পরিণতকরণ, শান্তি মিশনে সৈনিক পাঠানো,পহেলা বৈশাখকে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা, বিচারব্যবস্থা দ্রুত করণ, গণমাধ্যমের প্রসারে ভূমিকা, গণমাধ্যমের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়া, গণমাধ্যমের জন্য ট্রাস্ট গঠন, বিদেশে চাকরিপ্রাপ্তির সুযোগ বৃদ্ধিকরণ, বোয়েলস গঠন, সুষ্ঠু কর-কাঠামো প্রবর্তন, জাকাত তহবিল ও ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ, বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি, পল্লী বিদ্যুতের সম্প্রসারণ, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, তিন নেতার মাজার, ঢাকার ডিএনডি বাঁধ নির্মাণ, নগর ভবন ও পুলিশ সদর দফতর নির্মাণ, দেশের সর্ব প্রথম বিরতিহীন আন্তনগর ট্রেন চালু, শিশুদের নিয়ে পথকলি ও নতুন কুড়ি গঠন, ঘূর্নি উপদ্রুত এলাকায় প্রথম শেলটার বাড়ী তৈরি, তিস্তা বাঁধ তৈরি করেন, ত্রিমোহনি সেতু নির্মাণ, উপজেলা প্রবর্তন ও প্রত্যেক উপজেলায় ১৭ জন অফিসার নিয়োগ ও ক্ষমতা বিকেন্দ্রী করন, প্রথম আইএস ডি টেলিফোন প্রতিষ্ঠা, রাজশাহী বিমান বন্দর চালু, বারডেম হসপিটাল প্রতিষ্ঠা, তিস্তা বাঁধ তৈরি, ফার্মগেট খামার বাড়ী তৈরীসহ আনুমানিক প্রায় ৪১৯ টি বড় বড় কাজ করে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। এরশাদ স্যারের ৯ বছরের শাসনে বাংলাদেশের ছিল গোল্ডেন সময়। তখন খুন,গুম ,হত্যা ও দূর্নীতি ছিল না। তিনি কৌশলী ছিলেন বলেই সেনাপতি থেকে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন।
এরশাদ স্যার রংপুর থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক এবং ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে সেনাবাহিনী প্রধান এবং ১৯৭৯ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। একটি নব্য স্বাধীন দেশের এই সব হত্যাকান্ড এবং অদেখালপনা দেখে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এরশাদ স্যার রাষ্ট্রক্ষমতা বসেন। ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে দেশ শাসন শুরু করেন। এরপর ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই দলের মনোনয়ন নিয়ে ১৯৮৬ সালে পাঁচ বছরের জন্য দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে ক্ষমতা ছেড়ে দেন। কারাগারে যেতে হয় তাকে। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে পাঁচটি করে আসনে জয়ী হন এরশাদ স্যার। জেলে থেকে নির্বাচনের এমন বিজয় সাফল্যের নজিরও নেই ইতিহাসে। কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হওয়ার রেকর্ড নেই তাঁর। ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি তিনি জামিনে মুক্তিলাভ করেন। ১৯৯১ থেকে প্রতিটি নির্বাচনে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কাছে এরশাদ ছিলেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
২০০০ সালে এরশাদ স্যারের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি তিনভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। তবে মূল জাপার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি নিজেই। আপনার যা ইচ্ছে মনে হয় হোক। আমি এরশাদ স্যারের নাম দিয়েছিলাম “বাংলাদেশের রাজনীতির পীর কেবলা” “কৌশলী নায়ক”। তাঁর প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি হলো মেজর ট্রাম কার্ড পার্টি। যারা তাঁর কাছে এসে স্বর্ণময় জীবন গড়েছিল। যাদের পথ থেকে তুলে এনে সমৃদ্ধ জীবন গড়তে সহায়তা করেছিলেন। তাদের অনেকেই এক সময় তাঁর বিরুদ্ধাচারণ করে সরে গিয়েছিল। খুব আনন্দের খবর হলো, যারা এরশাদ স্যারের অবাধ্য হয়েছিল, যারা সরে গিয়েছিল পাশ থেকে, তারা কেউ জাতীয় রাজনীতিতে সফল হতে পারেনি। কে কি বলে বলুক ইতিহাস এরশাদ স্যারকে মনে রাখবে। ইতিহাসকে কথা বলানোর দায়িত্ব এখন তাঁর পুত্রদ্বয়ের।
বই আমার আত্মজা। বই না পড়লে ঘুম আসে না। কিছুদিন আগে এরশাদ স্যারের বইয়ের খোঁজে বনানীর পার্টি অফিসে গিয়েছিলাম। দেখেছিল এরশাদ স্যারের লেখা কিছু বই যত্নহীন অগোছালো ভাবে পড়ে আছে। যতদূর জানি এরশাদ স্যারের প্রায় চব্বিশটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে এক পৃথিবী আগামীকালের জন্য, নির্বাচিত কবিতা, যা ভেবেছি যা বলেছি, তিনটি বই পাঠ করার সৌভাগ্য হয়েছে। এরশাদ স্যারের “আমার কর্ম আমার জীবন” বইটি ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। পত্রিকায় পড়েছিলাম ৮৬৪ পৃষ্ঠার বইটিতে অনেক অজানা তথ্য ছিল। ওই বইয়ে স্থান পেয়েছিল তার বেড়ে ওঠা, স্কুল জীবন, সেনাবাহিনীতে প্রবেশ, রাষ্ট্রপতি হওয়া, ক্ষমতা হস্তান্তরের পর জেলে যাওয়া এবং জেল থেকে মুক্তি পর্যন্ত। ওই বইটি আমি কোথাও পাইনি। বই মেলাও না। খোঁজ চলছে এখনো। এরশাদ স্যারের ভক্ত এবং অনুসারী সাবেক ছাত্র নেতা জয় ভাই জানিয়েছেন, এরশাদ স্যারের সর্বশেষ বই ‘আমার জীবনের অবশিষ্ট অধ্যায়’ জীবনী আকারে লিখেছিলেন। জীবদ্দশায় বইটি চূড়ান্ত করেছিলেন। এখনো প্রকাশিত হয়নি। তাকে প্রশ্ন করেছিলাম, ভাই কবে হবে? তিনি কোন উত্তর দিতে পারেনি।
জীবন্ত এরশাদ শুধু রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেননি। শুধু রাজনীতি খেলেননি। লেখালেখিতে মুখর ছিলেন। সাহিত্যপ্রেমী ছিলেন। তিনি লিখেছেন অনেকগুলো বই। লিখেছেন কবিতা, আত্মজীবনীসহ প্রবন্ধের বই। এরশাদ স্যার খেলাধুলার প্রতি ভীষণ অনুরক্ত ছিলেন। ছোট বেলায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তিনি সব সময়ই প্রথম হতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ছিলেন ক্রীড়া চ্যাম্পিয়ন। সেনাবাহিনীতে চাকরিকালে তিনি সেনা ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন। একজন চৌকস গ্লফ খেলোয়াড় এবং এদেশে তিনিই প্রথম গ্লফ খেলা জনপ্রিয় ও সহজলভ্য করেছিলেন এরশাদ স্যার। এই খেলা বিস্তারে ও উন্নয়নে তাঁর ভুমিকা অপরিসীম। তিনি নিজে লন টেনিস খেলতেন। এ খেলাটির উন্নয়নেও তাঁর অবদান সর্বজন স্বীকৃত। বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা ক্রীড়া উন্নয়নে এরশাদ স্যারের একটি অনন্য কৃতিত্ব।
রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ এমপির কাঁধে এখন অনেক দায়িত্ব। জীবন্ত এরশাদের চেয়ে মৃত্যু এরশাদকে আরো বেশী শক্তিশালী করতে হবে তাকেই। তাকে ভুলে গেলে চলবে না যে, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সামনে রেখে রাজনীতি করছে। বিএনপি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে ক্যাশ করে রাজনীতি করছে। জাতীয় পার্টিকে বাঁচতে এবং বাঁচাতে হলে এরশাদ স্যারের আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। প্রশ্ন হলো জাতীয় পার্টি কী সে পথে হাঁটছে? না। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই এরশাদ স্যারের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টি সে পথে কতদূর হেঁটেছে? আসলে জাতীয় পার্টি সেই কাজটি যথাযথ ভাবে করতে পারছে না। তাহলে কী হবে ? এমন হলে জাতীয় পার্টি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে। কী করতে হবে? করনীয় কী? সভা সমাবেশে এরশাদ স্যারের আদর্শ প্রচার ও এরশাদ পাঠ বৃদ্ধি করতে হবে। এরশাদ স্যারের জীবনী গ্রন্থ সহজলভ্য করে নেতাকর্মীদের হাতে তুলে দিতে হবে। প্রয়োজনে পাঠ চক্র করতে হবে। পাঠ প্রতিযোগীতা করতে হবে।
দীর্ঘ প্রায় ২৩০ দিন মায়ের চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে থাকাকালিন সময়েও উন্নয়ন কাজ ফেলে না রাখা, নির্বাচনী মাঠ সরগম রাখা। জনগণের পাশে থাকা, মেঠোপথের গ্রামে পায়ে পায়ে ছুটে চলা ইত্যাদি বিষয়ে পিতার আসনে উপ-নির্বাচনে বিজয়ী রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ এমপি পিতাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। সম্প্রতি রংপুরে এসে প্রচন্ড গরম ও সূর্য্যের তাপ উপেক্ষা করে প্রকল্প পরিদর্শন ও উদ্বোধন করতে পিছপা হননি। পিতার ফুটবল প্রীতিকে জানিয়ে দিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও খেলোয়ারদের ফুটবল, ব্যাট ও ক্রিকেট বল উপহার দিয়েছেন পরম উচ্ছ¡াসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ছবি ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।
উত্থান-পতন মানুষের জীবনের জীবন্ত ইতিহাস। যারা রাজনীতি করেন, তাদের জীবনে উত্থান পতন আসবে, দৃশ্যমান হবে। রাজনীতি মানে ক্ষমতার খেলা। এ খেলায় পরাজয় আছে, আছে জয়। প্রায় ৮৯ বছরের এক সুদীর্ঘ জীবন ছিল এরশাদ স্যারের। এর মধ্যে প্রায় এক দশক ক্ষমতায় ছিলেন। ক্ষমতার বাইরে ছিলেন প্রায় তিন দশক। তবে তিনি ঠিক ক্ষমতার বাইরে ছিলেন এ কথা বলাই উচিত নয়। বলা যেতে পারে ক্ষমতার বৃত্তের মধ্যেই তাঁর অবস্থান ধরে রেখেছিলেন। রাজনীতিতে এরশাদ স্যারের নিজস্ব আদর্শ ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী জাতীয়তাবাদের সম্মিলন ঘটিয়ে নতুন ধারার এক রাজনীতির প্রবর্তন করা। তা তিনি বাস্তবায়ন করার জন্য এগিয়েছিলেন বহুদূর। কিন্তু বয়সের কারণে পারেননি। অনেকেই এখন বলছেন, আগামী দিনের রাজনীতির আলোচনায় এরশাদের কথা থাকবেন না। জাতীয় পার্টির প্রাসঙ্গিকতা ঠুনকো হয়ে উঠবে।
রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ। আপনার নামের সাথে এরশাদ শব্দটি যুক্ত আছে। আপনার বড় পরিচয় আপনি এরশাদ স্যারের সন্তান। বিশে^র অধিকাংশ দেশে রাজনৈতিক ক্ষমতা দুটি দলের মাঝে পালাবদল হয়। তাই দ্বি-দলীয় রাজনীতিক মেরুকরণের মধ্যে থেকে একদিন একক ক্ষমতা দেখিয়ে দ্বি-দলীয় রাজনৈতিক দৃশ্যপট ভাঁঙ্গতে হবে আপনাকে। এরশাদ স্যারের রাজনীতিক আদর্শ বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী জাতীয়তাবাদের উত্তরণ ঘটাতে কাজ করতে হবে, ঘাম ঝরিয়ে। চাপ কিংবা ভয়ে ভীত হয়ে থাকলে চলবে না। দেখিয়ে দিতে হবে, জানিয়ে দিতে হবে এবং প্রমাণ করতে হবে জীবন্ত এরশাদ মৃত্যু এরশাদের চেয়ে শক্তিশালী। রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, পারবেন না!।
পুনশ্চঃ লেখাটি তৈরীতে তথ্য সহায়তা করেছেন জয়ভাই, জাতীয় পার্টির কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য। কৃতজ্ঞতা তাদের প্রতি।