সারিয়াকান্দিতে ধানকাটতে হারভেষ্টার মেশিনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে

পলাশ মন্ডল,সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে চাষাবাদে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার বাড়ছে। কৃষিতে আধুনকি প্রযুক্তি সংযোযিত হওয়ায় একদিকে কৃষকদের সময় বাচছে অন্যদিকে খরচ ও কমছে বহুগুন। চরাঞ্চলের সহ বিল এলাকার চাষীদেরও অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন এতে। তাতে আগের চেয়ে এখন কৃষকরা স্বাবলম্বি হয়ে ঊঠছেন এই এলাকার চাষীরা। তবে এরইমধ্যে ধান কাটতে কমবাইন্ড হারভেষ্টার মেশিন জনপ্রিয় হয়ে ঊঠছে চাষীদের কাছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় বহুদিন আগে থেকে ছাষাবাষে গরুর হালের বদলে মেশিনের লাঙ্গল, সেচ কাজে সেচ পাম্প, নিড়ানী মেশিন, ওষুধ স্প্রে ক্ষেত্রে আধুনিক যন্ত্রপাতি আগে থেকে ব্যবহার হলেও ইদানীং এখানকার কৃষকরা ধান কাটতে শ্রমিক সংকটের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। শ্রমিকের উচ্চ মুল্য ছাড়াও সংকট মোকাবেলায় ধানের জমির মাঠে মাঠে কমবাইন্ড হারভেষ্টার ব্যবহার করছেন অনেক চাষী। এই হারভেষ্টার ব্যবহার করে তারা এক মেশিনে তিনটি সুবিধা পাচ্ছেন। সময় কমের পাশাপাশি সাথে পাচ্ছেন সংগে সংগে বস্তা জাত ও মাড়াই কাজ। চাষীরা তার জমির আইলে বসেই পাকা সোনালী ধান ঘরে তুলছেন। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৮২ ভাগ ধান কর্তন করা হয়েছে। বাকী ধান আগামী ৭ দিনের মধ্যে কর্তন শেষ হবে বলে আশা করা যায়। এছাড়াও এলাকায় ৩০টি ধান কাটা হারভেষ্টার মেশিন কাজ করছে। এরইমধ্যে চাষীদের কাছে এর জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে।
ফুলবাড়ী ইউনিয়নে আমতলী গ্রামের আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি ৩ বিঘা জমিতে বিআর ২৯ জাতের ধান লাগিয়ে ছিলাম। আকাশের কালো মেঘের আনাগোনা অন্যদিকে শ্রমিক সংকটের কারণে কয়েক দিন নির্ঘুম রাত কেটেছে আমার। বুধবার ঘন্টাখানে এর মধ্যেই পুরো জমির ধান কাটা-মাড়াই করতে আমি উচ্ছসিত। ঘড়ে সোনালী ধান দেখে মন ভরেছে পরিবারের সবার।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল হালিম বলেন, উপজেলায় চর ও বিল এলাকায় সমানতালে ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি। এক্ষেত্রে বর্তমান সরকারে র্ভুতুকি দেওয়ায় চারীরা চাষাবাদে সহজেই ব্যবহার করতে পারছেন আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি এতে সরকারের লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব হচ্ছে আমাদের।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * সারিয়াকান্দি * হারভেষ্টার মেশিনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে
সর্বশেষ সংবাদ