রাণীশংকৈলে হাইব্রিড কচুর লতি চাষে লাভবান কৃষকরা, বাড়ছে চাহিদাও

নাজমুল হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:-
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষি অধিদপ্তরের  বিভিন্ন ব্লকে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চাষ হয়েছে বারি জাতের লতি কচু।বর্তমানে দেশে বেশ কয়েক প্রকার কচুর লতির জাত রয়েছে। এসব জাতের মধ্যে ‍উদ্ভাবিত বারি পানি কচু-১ এবং বারি পানি কচু-২ উল্লেখযোগ্য। উন্নত এ জাতের লতি লম্বা ও বেশ মোটা এবং গিটযুক্ত মাংস দ্রুত গলে যায়।তবে বিভিন্ন এলাকায় মানুষের মুখে স্বাদ যুক্তের কারণে বাজারে চাহিদাও বেশি হয়। অর্থকরী ফসল হিসেবে এই সবজি বেশ লাভজনক বটে। উপজেলায় এবার ১২ টি ব্লকে ৬ হেক্টর জমিতে বারি জাতের এ লতি কচুর চাষ হয়েছে।
বারঘরিয়া ব্লকে কৃষক আব্দুল আলীম ২০ শতক জমিতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে পানি কচু-২ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, এ লতি কচুর ফলন ভালো, বাজারেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। জমি থেকেই পাইকাররা ৭০-৮০ টাকা কেজিতে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ৩৫ হাজার টাকার লতি বিক্রি করেছি। আশা করছি আগামী তিন মাসে আরও ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার লতি বিক্রি করতে পারবো।
লেহেম্বা ব্লকে কৃষক হামিদুর রহমান প্রথমবারের মতো পানি কচু-২ চাষ করেছেন। তার মতে, এ কচু লতির চাষ ধান চাষের চেয়েও অনেক লাভজনক। প্রকল্পের আওতায় এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিনি চাষ করে লাভবান হয়েছেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, পানিকচু ও লতিকচু অনেক সুস্বাদু একটি সবজি। এর বাজারদর বেশ ভালো থাকে। বর্তমান বাজারে ৭০-৮০ টাকা কেজিতে অনায়াসে বিক্র করা হচ্ছে এসব কচুর লতি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ জানান, কচুর লতি অনেক সুস্বাদু একটি সবজি ফলনও বেশি হয়। এ জাতের কচুর লতি চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ১০-১৫ হাজার টাকা। আর মৌসুম শেষে বিঘা প্রতি লাভ হয় প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকা। এটি চাষ কেবল আর্থিক ভাবে লাভজনক নয়, আয়রন সমৃদ্ধ সবজি যা শিশু এবং গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টি নিরাপত্তায় দারুণ ভূমিকা রাখে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * রাণীশংকৈলে হাইব্রিড কচুর লতি চাষ