জেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও শিক্ষকদের বেতনের অনিয়মের অভিযোগ

মীর ইমরান, মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

মাদারীপুরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী মো. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ও শিক্ষকদের বেতনের টাকা আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।  কয়েকজন শিক্ষক ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ।

দুর্নীতি ও শিক্ষকদের অথ লুটপাটের অভিযোগে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করার পরেও বহাল তবিলতে রয়েছে রেজাউল করিম। দ্রুত তার বিষয় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী সচেতন সমাজের।

ভাঙা থানায় অভিযুক্ত রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মামলার এজাহার ও লিখিত অভিযোগ রয়েছে, মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী মো. রেজাউল করিম স্থানীয় লোকজনের সাথে সংঘর্ষে জড়িত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর একটি মামলা দায়ের হয়। যেখানে তাকে দোষি করে একই বছরের ১৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করলে আদালত তা গ্রহণ করে। এরপরেও তথ্য গোপন করে তিনি চাকরি বহাল তবিলতে রয়েছে। এছাড়াও তিনি ফরিদপুরের আদালতে হাজির হওয়ার দিনেও কর্মস্থলে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে অনিয়ম করেছেন ।

অভিযোগে আরো জানা যায়, রেজাউল করিম ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় চাকরি অবস্থায় ১৭ জন শিক্ষকের নামে ভুয়া বিল ভাউচার করে ৫১ লাখ টাকা আত্মসাত করে। বিষয়টি যখন প্রকাশ পায়, তখন তিনি তড়িঘড়ি করে রাজৈর উপজেলায় বদলি হয়ে আসে। এরপরে রাজৈর থেকে মাদারীপুর জেলা প্রাথ মিক শিক্ষা অফিসে বদলি হয়ে আসে। এখানে এসে তিনি রাজৈর উপজেলার তুস্ট চরণ মন্ডল, সুষমা ও মো. এমদাদ হোসেনের কাছ থেকে অর্ধ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের থেকে উৎকোচ গ্রহণ করার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার সাখাওয়াত হোসেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরেরর মহাপরিচালক বরাবরে আবেদন করলেও কোন প্রতিকার হয়নি। বরং বহাল তবিলতে চাকরি করে আসছেন রেজাউল করিম। বিয়ষটি নিয়ে সচেতন মহলে কানাঘোষা শুরু হয়েছে।

বিষয়টি যখন প্রকাশ পায়, তখন তিনি তড়িঘড়ি করে রাজৈর উপজেলায় বদলি হয়ে আসে। এরপরে রাজৈর থেকে মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বদলি হয়ে আসে। এখানে এসে তিনি রাজৈর উপজেলার তুস্ট চরণ মন্ডল, সুষমা ও মো. এমদাদ হোসেনের কাছ থেকে অর্ধ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের থেকে উৎচোক গ্রহণ করার অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার সাখাওয়াত হোসেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরেরর মহাপরিচালক বরাবরে আবেদন করলেও কোন প্রতিকার হয়নি। বরং বহাল তবিলতে চাকুরী করে আসছেন। বিয়ষটি নিয়ে সচেতন মহলে কানাঘোষা শুরু হয়েছে।

লিখিত অভিযোগকারী শিক্ষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান,আমরা অভিযোগ করি নাই।

এসব অভিযোগের বিষয় উচ্চমান সহকারি রেজাউল করিম নিজেকে নির্দোষ দাবী করে জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমাকে প্রশাসনিক পর্যায়ে হেয় প্রতিপন্য করার জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করেছেন । আমার বিরুদ্ধে বর্তমানে আদালতে কোন মামলা নেই ।

এব্যাপারে মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * উচ্চমান সহকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি * জেলা শিক্ষা অফিস * শিক্ষকদের বেতনের অনিয়মের অভিযোগ