“জাবির ৪৩ তম আবর্তনের শিক্ষা সমাপনী উৎসব এর রাজা- রাণী  বিপ্লব ও প্রীতি ”

মোঃ মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
মুক্ত বুদ্ধি ও মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার চরণক্ষেত্র জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী নামে পরিচিত। সেই সংস্কৃতির অংশ হিসেবে প্রতি ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী উৎসবে নির্বাচন হয় রাজা-রাণী পদে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর ৪৩ ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী উৎসবে রাজা নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শফি কামাল বিপ্লব ও রানী পদে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সাহিনুর আক্তার প্রীতি। তাদের প্রাপ্ত ভোট যথাক্রমে ৬৩৭ ও ৫৩৫ টি। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ভবনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এরপর রাত ৯টায় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়। পরে গভীর রাতে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এবারের নির্বাচনে রাজা-রানী পদে দুইজন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। রাজা পদে যে আরেকজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিপ্লব হোসাইন এবং রানি পদে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী তাসলিমা খান পন্নী। তাদের প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা যথাক্রমে ৩২৬ ও ৪১৪ টি। ৪৩ তম ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী উৎসবের এই নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল প্রায় ২ হাজার ২শ ৩৭ জন। সেখানে মোট ভোট পরেছে ৯৬৯ টি। রাজা পদে ৩ টি এবং রানি পদে দুটি ভোট বাতিল হয়েছে। রানি পদে শূন্য ভোট পরেছে ১৫ টি।
নির্বাচন কমিশনার মো: আবু সায়েম হৃদয় বলেন, “সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে এসেছেন এবং আনন্দ ও উৎসবের মাধ্যমে ভোটে অংশগ্রহন করেন। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) ভোটগ্রহণ শেষে মধ্যরাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু তাহের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। রাজা-রানি নির্বাচন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চলে নির্বাচনী প্রচার-পোস্টারিং। আবাসিক হল, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, ক্যাফেটেরিয়া, বিভিন্ন অনুষদের ভবন, বটতলাসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ছবিসহ পোস্টারিং-এ উৎসবমুখর থাকে ক্যাম্পাস।
প্রসঙ্গত,  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) র‌্যাগ ডে উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ রাজা-রানী নির্বাচন। এ পদে অংশ নিতে  বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশন হতে মনোনয়ন ফর্ম কিনতে হয়। তবে ক্যাম্পাসে অত্যন্ত পরিচিত মুখরাই এ পদে আগ্রহ দেখায়। এছাড়া বেশ কিছু গুণাবলীর সমন্বয়ে রাজা-রানি নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া যায়। পোস্টারিং, ক্যাম্পেইন, লিফলেট, ভোট চাওয়ার মাধ্যমে এ নির্বাচনের প্রচারণা প্রায় ১৫-২০ দিন পর্যন্ত চলে। এরপর নির্ধারিত দিনে নির্বাচন হয়। সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ ও আকর্ষণীয় ব্যাপার হল রাজা-রানী প্রার্থীদের বর্ণাঢ্য রিকশা শোভাযাত্রা। র‌্যাগার ব্যাচের প্রত্যেক শিক্ষার্থীই ভোটার হিসেবে একজন রাজা এবং একজন রানীকে ভোট দেন। নির্বাচন কমিশনারের তত্ত্বাবধানে ভোট গ্রহণ ও নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে একজন রাজা ও একজন রানী নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য,  জাবির ২৭তম ব্যাচ থেকে ভোটের মাধ্যমে রাজা-রানী নির্বাচন শুরু হয়। এ ব্যাচের রাজা ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আহমেদ শরীফ সানি এবং রানী ছিলেন আইবিএ’র তানি। এরপর থেকেই এই প্রক্রিয়ায় রাজা-রানি নির্বাচিত হয়।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * উৎসব এর রাজা- রাণী  বিপ্লব ও প্রীতি ” * জাবির ৪৩ তম আবর্তনের শিক্ষা সমাপনী
লাইভ রেডিও
সর্বশেষ সংবাদ