কিশোরগঞ্জে রাহাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

 

মোঃ রাকিব জেলা প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জঃ

 

কিশোরগঞ্জ শহরের পৌর এলাকাধীন উকিলপাড়া এলাকায় একটি বাসায় ঢুকে চাচাতো ভাইকে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যার মূল আসামি জোবায়ের হাসানকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখানে সে এক আত্মীয়বাড়িতে পালিয়ে ছিল। গ্রেপ্তার জোবায়ের কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল এলাকার শহিদুল হক খন্দকারের ছেলে।

 

গত (২১ সেপ্টেম্বর) বধুবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় আপনবোন আরিফা সুলতানার বাসায় চাচাতো ভাই আবিদ হাসান রাহাতকে (২২) জবাই করে হত্যার করে পালিয়ে যায় চাচাতো ভাই জোবায়ের। নিহত রাহাত শহরের শোলাকিয়ার বাসিন্দা এবিএম আনোয়ারুল হকের ছেলে।

 

ঘটনার পরদিন নিহতের মা মাহমুদা সুলতানা বাদী হয়ে জোবায়েরকে প্রধান আসামি করে তার মা-বাবা ও বোনসহ চার জনের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যার মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মামলার অন্যান্য তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। আদালতের আদেশে তারা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।

 

ঘটনার এক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার রাতে মামলার প্রধান আসামি জোবায়েরকে গ্রেপ্তারের পর আজ বুধবার দুপুরে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত রিমান্ড শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, রাহাত হত্যাকাণ্ডে জোবায়েরের জড়িত থাকার কথা তাদের কাছে স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত  ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে।

 

এর আগে বেলা ১১টায় কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, পারিবারিক কলহ ও প্রতিহিংসা থেকে জোবায়ের তার চাচাতো ভাই রাহাতকে হত‌্যা করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে আরো কেউ জড়িত কি-না, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।

 

গ্রেপ্তার জোবায়েরের দেয়া তথ্যে পুলিশ সুপার বলেন, নিহত রাহাতের বাবা ও জোবায়েরের বাবা আপন দুই ভাই। জোবায়েরের বাবা রাহাতের বাবাকে খুব সম্মান করতেন। বলতে গেলে তাঁর কথা মতোই চলতেন। বিষয়টি পছন্দ হতো না জোবায়েরের। রাহাতের বাবার কথায় চলার কারণে অনেক সময় জোবায়েরর মতামত তেমন মূল্যায়ন পেতো না তার নিজ পরিবারের কাছে, পাশাপাশি জোবায়েরের চাহিদা বা পছন্দও পূরণ হতো না, এমন কি নানান বিষয়ে বঞ্চিত হতো সে। এ কারণে জোবায়ের ক্ষিপ্ত ছিল রাহাত ও তার পরিবারের ওপর। রাহাতের বাবাকে কষ্ট দিতেই সে চাচাতো ভাই রাহাতকে হত‌্যা করে। তবে পুলিশ এসব কথার সত‌্যতা যাচাই করে দেখছে। তাছাড়া এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত রয়েছে কি-না তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

 

পুলিশ জানিয়েছে, মামলায় জোবায়েরের বাবা শহিদুল হক খন্দকার, মা মাহমুদা আক্তার ও বোন আরিফা সুলতানাকেও আসামি করা হয়েছে। তাই বিষয়টির নানা দিক বিবেচনা করে পুলিশকে তদন্ত করতে হচ্ছে। কারণ হত‌্যাকাণ্ডটি ঘটেছে জোবায়েরের বোন আরিফা সুলতানার বাসায়।

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * নৃশংসভাবে জবাই
লাইভ রেডিও
সর্বশেষ সংবাদ