লোহাগড়া পৌরসভার নবগঙ্গা নদীর ওপর কাঠের ব্রীজটি ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ
শরিফুল ইসলাম নড়াইলঃ
নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার কচুবাড়ীয়া এলাকায় নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত কাঠের ব্রিজটি দীর্ঘ ছয় মাস ধরে ভেঙে পড়ে আছে । ব্রীজটির নির্মাণের জন্যও নেই কোনো উদ্যোগ । ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যস্থলে যেতে হচ্ছে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও অফিসগামী ও হাট-বাজারের যাতায়াতকারী লোকজনদের। এতে অর্থনৈতিক ক্ষতিসহ ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত সময়।
গত সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা যায়। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে লোহাগড়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড ও ৮নং ওয়ার্ডের নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত লোহা এবং কাঠের তৈরী ব্রিজটি ভেঙে পড়ে আছে। ব্রিজটি ক্ষতিতগ্রস্থ হওয়ার পর থেকে এ পথের যাত্রী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়।
২০০৮ সালে উত্তরের চোরখালী এবং দক্ষিণের কচুবাড়ীয়া গ্রামের সোজাসুজি নবগঙ্গা নদীতে কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে লোহাগড়া পৌর কর্তৃপক্ষ। তাতে করে ওই এলাকার লোকজনের স্বল্প দূরত্বে পৌরকার্যালয়,হাট-বাজার, উপজেলা সদর ও জেলা শহরে যাতায়াত করতে পারে। কিন্ত ব্রিজ দিয়ে হেঁটেই নদীর এপার-ওপার যাতায়াত করে আসছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু চলতি বছরের বালু ব্যবসায়ীরা তাদের ড্রেজার পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে আনার ব্যবস্থা করতে গিয়ে ব্রিজটি মাঝ বরাবর ভেঙে ফেলে রাতের অন্ধকারে।
এরপর থেকেই চরম দুর্ভোগে পড়ে স্থানীয়রা। চোরখালী গ্রামের সবুজ মিয়া বলেন, এক মিনিটের পথ এখন ঘুরে যেতে সময় লাগছে এক ঘণ্টা। তার পর আবার সময়মতো সেথান থেকে গাড়ি পাওয়া যায় না। ব্রিজটি আমাদের খুবই জরুরী। এলাকাবাসীর দাবি, ব্রিজটি যেন মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করা হয় ।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ সৈয়দ মসিয়ূর রহমান বলেন, ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কথা শুনেছি। তবে ড্রেজার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারেনি । তিনি আরো বলেন,এই মুহূর্তে ব্রিজটি মেরামতের কথা ভাবছি না, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজের নির্মাণের কথা ভাবছি।