রাণীশংকৈলের গর্ব স্বপ্না ও সোহাগী
নাজমুল হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ঃ
১৯ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ঠু দশরথ স্টেডিয়ামে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল, আর সে দলের হয়ে ২জন ছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার স্বপ্না ও সোহাগী। ইতিহাস গড়ার এ খেলায় অংশ গ্রহন করেছে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমির দুই কৃতি খেলোয়ার স্বপ্না রাণী ও সোহাগী কিসকু।
কুঁড়েঘরে থাকা শ্রমজীবি বাবার দারিদ্র জয় করে স্বপ্না রাণী ও সোহাগী কিসকু আজ দেশের সম্পদ। স্বপ্না রাণীর বাবা নিরেন চন্দ্র মঙ্গলবার আমাদের প্রতিনিধি কে বলেন আমার ৩ মেয়ে ১ ছেলে সব চেয়ে ছোট হচ্ছে স্বপ্না রাণী, সে আজ জাতীয় দলের খেলোয়ার । শুধু দারিদ্র নয় একসময় আমার পরিবারকে লড়াই করতে হয়েছে ধর্মীয় কুসংস্কারের সাথেও। কিন্তু সে বাঁধা উপেক্ষা করে আমার মেয়ে খেলার মাঠে যেতো প্রতিদিন । তার খেলার সামগ্রি বুট, জারসি, ঔষধ এবং মাঠে যাওয়ার জন্য একটি বাইসাইকেল কিনে দেয় রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমির পরিচালক সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম। আজ চ্যাম্পিয়ান হওয়ায় আমায় খুব আনন্দ লাগছে।
সোহাগী কিসকুর বোন ইপিনা কিসকো বলেন, আজকে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল জয়ী হয়েছে। এতে আমার বোন রয়েছে আমরা সবাই খুশি।
এ প্রসঙ্গে রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমির পরিচালক সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, নারী ফুটবল দলের এই জয় আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এজন্য বাংলাদেশ দলকে আমি অভিনন্দন জানাই। এ বিজয় আমাদের জন্য যেমন আনন্দের তেমনি ঠাকুরগাঁওয়ের জন্য গর্বের।
রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহি অফিসার সোহেল সুলতান জুরকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, প্রথমত বাংলাদেশ ফুটবল দল কে অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে এ উপজেলার দুজন খেলোয়ার জাতীয় দলের হয়ে খেলায় অংশগ্রহন করায় তাদের জন্য আমরা গর্বিত। তারা আগামী ৫ অক্টোবর ছুটিতে আসলে তাদের সংম্বর্ধনা দেওয়া হবে।