তীব্র লড়াইয়ে পিছু হটছে রুশ বাহিনী, দাবী ইউক্রেনের

 

 

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

তীব্র লড়াইয়ে পিছু হটছে রুশ বাহিনী, এমন দাবি করেছে ইউক্রেন। ৫ দিনে দেশটির উত্তর–পূর্বাঞ্চলের ২ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা পুনর্দখলের দাবি করেছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একে বড় ধরনের বিজয় হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। তবে রাশিয়ার দাবি, কৌশলগত কারণেই অবস্থান পরিবর্তন করেছে সেনাবাহিনী।

বিবিসি জানায়, ইউক্রেনের শক্তিশালী আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান শহরগুলো থেকে পিছু হটছে রাশিয়ান বাহিনী।

ইউক্রেনের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শনিবার সৈন্যরা কুপিয়ানস্কে প্রবেশ করেছে, রুশ বাহিনীর জন্য পূর্বাঞ্চলে যা একটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ কেন্দ্র।

এ মাসের শুরুর দিকে খারকিভের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অভিযান জোরদার করে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। রাশিয়ার কাছ থেকে কুপিয়ানস্ক রেলওয়ে জংশনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে কিয়েভ। যুদ্ধক্ষেত্রে সেনা ও সামরিক সরঞ্জামাদি পাঠাতে রুশ সেনারা এ জংশন ব্যবহার করত।

এপ্রিল মাসে কিয়েভের আশেপাশের এলাকা থেকে রাশিয়া সেনা প্রত্যাহার করার পর থেকে ইউক্রেনের এই অগ্রগতি এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ।

শনিবার রাতের এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, ইউক্রেন এই মাসের শুরুতে পাল্টা আক্রমণ শুরু করার পর থেকে রাশিয়ার কাছ থেকে দুই হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা মুক্ত করা হয়েছে। শনিবার ইজিয়াম শহরে ইউক্রেনীয় সেনা প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে কিয়েভ।

তবে রাশিয়ার দাবি, কৌশলগত কারণেই অবস্থান পরিবর্তন করেছে সেনাবাহিনী। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের সৈন্যরা পুনঃসংগঠিত হতে ইজিউম থেকে পিছু হটেছে। দোনেৎস্কে প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর বালাকলিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মন্ত্রণালয়।

রাশিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়, ইজিয়ুম-বালাকলিয়া থেকে দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের ভূখণ্ডে সৈন্যদের স্থানান্তর ও সংগঠিত করতে তিন দিনের অভিযান চালানো হয়েছিল। রুশ সৈন্যদের ক্ষতি রোধ করার জন্য, শত্রুকে জোরালো গোলাবর্ষণে পরাজিত করা হয়েছে।

এদিকে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলী প্রমাণ করছে যে তাদের বাহিনী রুশ সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছে এবং আরও পশ্চিমা অস্ত্র সহায়তা পেলে তা দিয়ে দ্রুত যুদ্ধ শেষ করা সম্ভব।

ইজিউম থেকে রাশিয়ার প্রত্যাহারের বিষয়টি স্বীকার করে নেয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এটি মস্কোর জন্য একটি প্রধান সামরিক কেন্দ্র ছিল। বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, রাশিয়া খেরসন শহর রক্ষার জন্য তার সবচেয়ে অভিজ্ঞ কিছু সৈন্যদের সেদিকে পাঠিয়েছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * ইউক্রেন * রুশ বাহিনী
লাইভ রেডিও
সর্বশেষ সংবাদ