কালের সাক্ষী হয়ে টিকে আছে ফরিদপুরের উড়োজাহাজ ঘাটির রানওয়ে
তানভীর তুহিন, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশের অন্যতম একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা ফরিদপুর। এই জেলা সদরের বর্তমান ভাজনডাঙ্গা গুচ্ছগ্রামে পাকিস্তান আমলে ছিলো একটি বিমান ঘাটি।
অনেকেরই অজানা এই বিমান ঘাটির রানওয়ে সম্পর্কে। এই রানওয়ে নিয়ে ফরিদপুর সিটি ফেইসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন পেজের এডমিন এমদাদুল হাসান। এই পোস্টের পরেই অনেকে জানতে পারে এই রানওয়ে সম্পর্কে। জানাযায়, রানওয়েটি পাকিস্তান আমলে প্রশিক্ষণ বিমান উঠানামার কাজে ব্যবহৃত হতো। স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তিদের সাথে আলাপ করে তার সত্যতাও মিলেছে। তছিরন্নেছা (বিহারি) বয়স ৮০ বছর, তিনি জানান, এখান থেকে ছোট ছোট প্লেন আকাশে উড়ে যেতো আবার নেমে আসতো। বিমান উঠানামা নিয়মিত ছিলো না তবে হঠাৎ আসতো যখন প্রশিক্ষণ সেশন চলতো তখন। সি প্লেনও উঠানামা করতো এই রানওয়ের পাশে থাকা ভূবনেশ্বর নদ থেকে। ভূবনেশ্বর নদের প্রবীণ জেলে বিশ্বনাথ মাঝি জানান, তিনি ভুবনেশ্বর নদে (বর্তমান টেপাখোলা লেকে) সি প্লেন নামতে দেখেছেন। তখন ভূবনেশ্বর নদে বড় বড় স্টিমার, ট্রলার, প্যাডেল বোট আসতো বলেও জানা যায়।
১৯৮৮ সালের দিকে এরশাদ সরকারের আমলে বন্যার সময় হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ফরিদপুরে এসেছিলেন এবং এই রানওয়েতে নদী ভাঙ্গা অনেক পরিবারকে থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন। তারপর থেকেই এই রানওয়ের দুপাশে ঘরবাড়ি গড়ে উঠে। শুধুমাত্র রানওয়েটি থেকে যায় কালের সাক্ষী হয়ে।