বাগেরহাটে জমি কিনে বিপাকে, হয়রানি থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

 

আবু-হানিফ, বাগেরহাট অফিসঃ

বাগেরহাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হয়রানি থেকে বাঁচার আবেদেন করেছেন মোঃ আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী। শুধু হয়রানি নয়, জমি থেকে উচ্ছেদ করতে ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের উপর হামলাও হয়েছে। বুধবার (২৪ আগস্ট) বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এস অভিযোগ করেন তিনি।

বাগেরহাট সদর উপজেলার রনবিজয়পুর এলাকার বাসিন্দা মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ২০১২ সালে রনবিজয়পুর এলাকার জনৈক আবু তৈয়ব আজিজুর রহমানের কাছ থেকে ১৩৭ নং রনবিজয় মৌজায় ১৩ শতক জমি ক্রয় করে বসবাস করে আসছি। পরবর্তীতে আবু তৈয়ব আজিজুর রহমানের দুই বোন মেহেরুন্নেছা বেগম ও নিলুফার রহমানের কাছ থেকে ৩০ শতক এবং ভাই শাহাদাতুর রহমানের কাছ থেকে আরও ৩০ শতক জমি ক্রয় করি। ক্রয়ের পর থেকে সকল জমি আমি ভোগদখল করে আসছি।

কিন্তু জমি দাতা আবু তৈয়ব আজিজুর রহমান মারা যাওয়ার পরে তার দুই মেয়ে সাদিয়া আফরিন উর্মি ও নাদিরা শারমিন আমার ক্রয়কৃত জমি দাবি করেন এবং তাদের বাবার দেওয়া দলিল অস্বীকার করেন। জমি থেকে উচ্ছেদ করতে নানাভাবে হয়রানি শুরু করেন। এর অংশ হিসেবে দরিতালুক এলাকার বাসিন্দা চিহ্নিত সন্ত্রাসী শেখ মোহাম্মাদ আলীকে দিয়ে সিমেন্ট রড চুরি, কাথা, কম্বল চুরি ও ইটের দেওয়াল ভাঙ্গার অভিযোগ এনে আমাকে, আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে আসামী করে আদালতে পৃথক দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। একটি মামলায় ২০ হাজার এবং অন্য মামলায় ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। শুধু মামলা দিয়েই ক্ষ্যান্ত হননি তারা, সাদিয়া আফরিন ও নাদিরা সুলতানা ভাড়াটিয়ে লোকদিয়ে কয়েকবার আমার বাড়িতে হামলা করেছে। এছাড়া শেখ মোহাম্মাদ আলীর নেতৃত্বে রনবিজয়পুর এলাকার ইউনুস মোল্লা, দরিতালুকের শাহাদাত মীর, রনবিজয়পুর এলাকার খান শাহীদ, ইছহাক ফকিরকে দিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করিয়েছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত আমার বাড়ির কলা, বাড়ির বিভিন্ন ফল-ফালাদি জোর করে নিয়ে যায় শেখ মোহাম্মাদ আলী ও তার লোকজন। এমনকি কয়েকবার পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে গেছে তারা।এতে আমি আর্থিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হই।

শুধু তাই নয় এসব হামলা-মামলা বন্ধ করতে শেখ মোহাম্মাদ আলী নাদিরা শারমিন ও সাদিয়া আফরিন উর্মির কথা বলে আমার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নেয়। তারপরেও তাদের অন্যায় অত্যাচার থামেনি। পরে শেখ মোহাম্মাদ আলী ও ইউনুস মোল্লা আমার কাছে প্রথমে এক লক্ষ এবং পরবর্তীতে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর কয়েকবার হামলা করে তারা। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ইউনুস মোল্লা আমার এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকেও মারধর করেছে। এই অবস্থায় আমি ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, জমি রক্ষায় আদালত আমার পক্ষে ১৪৪ ধারা জারি করেন।

১৪৪ ধারার পরেও শেখ মোহাম্মাদ আলী, ইউনুস মোল্লাকে সাথে নিয়ে নাদিরা শারমিন ও সাদিয়া আফরিন উর্মি আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। ক্রয়কৃত জমি রক্ষায় স্বত্ত¡ প্রচার ও স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য আদালতে আরও একটি মামলা দায়ের করি। মামলাদুটি চলমান রয়েছে। এই অবস্থায় জমি রক্ষায় উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শেখ মোহাম্মাদ আলী ও ইউনুস মোল্লাকে ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বাগেরহাট

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * বাগেরহাট * ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন